তবে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, মাসিক বিল থেকে সমন্বয়ের বিটিআরসির নতুন এই শর্ত মেনে চলা ‘কষ্টকর’ হবে। ইন্টারনেট গেইটওয়ে আইআইজিতে সংযোগ বন্ধ রাখলে বা স্থানীয় কাজে যখন কেবল কাটা যায়, তখন আইএসপির কিছু করার থাকে। বিষয়গুলো আমলে নেওয়া উচিত ছিল। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিল অগ্রীম নেওয়া হয়ে থাকে। আমরা সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরাও চাই গ্রাহকরা যেন কোনোভাবে সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।
বিটিআরসির নির্দেশনায় বলা হয়, গ্রাহক অভিযোগ (টিকেটিং নাম্বারসহ) দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করতে হবে। গ্রাহক কোনো অভিযোগ জানালে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া অভিযোগ সমাধানের তথ্য কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। বিটিআরসি গত জুন মাস থেকে গ্রাম থেকে শহর, সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের মাসিক ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গ্রাহক পর্যায়ে ৫ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) গতির ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ মূল্য হবে ৫০০ টাকা। ১০ এমবিপিএসের মূল্য ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের মূল্য ১২০০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়। বিটিআরসির হিসাবে গত অগাস্ট মাস নাগাদ ১ কোটির বেশি ব্রডব্যান্ড গ্রাহক রয়েছে।