সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন

গণহত্যার সহযোগীদের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাথাব্যথা নেই: ওবায়দুল কাদের

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ১৫ বার
আপডেট : বুধবার, ২২ মে, ২০২৪

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা গাজার গণহত্যাকে অস্বীকার করে তারা কোথায় কাকে নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি দিলো তাতে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।
বুধবার (২২ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সাংস্কৃতিক উপকমিটির ‘সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়’ শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডোনাল্ড এলেন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে। সেখানে আবার তিনি যেতে না যেতেই নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আগে ৭ জনের ওপর, এখন আবার একজন। আমি এই কথাই বলতে চাই, যারা গাজার গণহত্যাকে এবং যারা গণহত্যা ঘটাচ্ছে তাদের এই নিষ্ঠুর ও বর্বরোচিত ভূমিকাকে গণহত্যা বলতে চায় না, তারা কোথায় কাকে নিষেধাজ্ঞা দিলো তাতে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। তিনি বলেন, সাড়ে ৩৫ হাজার মানুষকে নির্বিচারে, নিষ্ঠুরভাবে অবিরাম হত্যা করছে গাজায়। ঘোষণা দিয়ে গণহত্যা করছে। হলোকাস্টের সময় ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যার কথা ইতিহাসে আছে। এখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যা করছে, তা হিটলারের চেয়েও ভয়াবহ।
এই গণহত্যার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা প্রোটেস্টরদের এভাবে হামলা করে, তাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার… যারা গণহত্যাকে অস্বীকার করে, তারা আমাদের কাকে নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি দিলো, সেটা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। সেনাবাহিনী নিজেদের নিয়মে চলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সশস্ত্র বাহিনী, কিন্তু তাদের আলাদা নিয়মকানুন আছে। সেখানে যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, সেটা প্রমাণিত হলে কোনোদিনও ছাড় দেওয়ার লোক বঙ্গবন্ধুর কন্যা না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকের মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংরক্ষিত আসনে অনেকে প্রার্থী ছিলেন, তাদের না পাওয়ার বেদনা থাকতে পারে। আমাদের দূরদর্শী লিডারশিপ ছিল বলে আমরা সফল হয়েছি। রিজার্ভ সিটের বিপরীতে প্রার্থী ছিল ১৩শ’ প্লাস। পরিস্থিতি এমন যে কাকে রেখে কাকে দেবো। অনেকে প্রার্থী ছিলেন, অনেকের স্বপ্ন ছিল, আকাঙ্ক্ষা ছিল, এ কারণে দুঃখ পেয়েছেন। তিনি বলেন, আগে নারীরা, তরুণরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। শেখ হাসিনার ম্যাজিক্যাল লিডারশিপে এখন তরুণ ও নারীরা একবাক্যে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন, এটা আমরা লক্ষ করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর