শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

জুলাইয়ে দেশের প্রথম পাতাল রেলের কাজ শুরু

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ১৪ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩

দেশের প্রথম পাতাল রেল এমআরটি লাইন-৫ এর উত্তরা রুটের কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১ (ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন) কাজ শুরু জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছে। আগামী জুলাইয়ে এই কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (২৩ মে) রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএল ভবনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ও টিওএ করপোরেশন (জাপান) এবং স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (বাংলাদেশ) মধ্যে এই চুক্তি সই হয়।চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।

মোট ১০টি কন্ট্রাক্ট প্যাকেজের মাধ্যমে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৫ এর কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১ অর্থাৎ ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন কাজের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী টিওএ করপোরেশন (জাপান) এবং স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (বাংলাদেশ) এই প্যাকেজের কাজ করবে। এছাড়া অন্যান্য প্যাকেজগুলোর দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন আছে।

এমআরটি লাইন-৫ হবে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল। এই প্রকল্পে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়াল মোট ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল লাইন তৈরি হবে। এর মাঝে যাত্রী উঠা নামায় মোট ১৪টি স্টেশন (৯টি পাতাল ও ৫টি উড়াল) থাকবে।

এমআরটি লাইন-৫ এর রুট অ্যালাইনমেন্ট হলো, হেমায়েতপুর-বলিয়ারপুর-বিলামালিয়া-আমিন বাজার ও গাবতলী। সেখান থেকে দারুস সালাম-মিরপুর ১- মিরপুর ১০-মিরপুর ১৪ ও কচুক্ষেত হয়ে যাবে বনানী। এরপর গুলশান ২ ও নতুনবাজার হয়ে লাইনটি যাবে ভাটারায়। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিন বাজার ও ভাটারা এই অংশে মেট্রোরেলের উড়াল পথ হবে। এবং গাবতলী থেকে নতুনবাজার অংশে পাতাল মেট্রোরেল হবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি হতে পাবে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও প্রকল্প সহয়তা থেকে পাবে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর