করোনা মহামারির ১৯ মাস পর এই প্রথম কোনও বিদেশ সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আজ শুক্রবার সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে তিনি নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এ সফরের শুরুতে তিনি ফিনল্যান্ডে অবস্থান করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল ৯টার পরে হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৯০১ যোগে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রেস সচিব নিজেও প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।

সফরসূচি অনুযায়ী স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৪টায় ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি সফরকালীন আবাসস্থল হেলসিংকির হোটেল ক্যাম্প-এ যাবেন।

পরেরদিন প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় হেলসিংকির ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৯০২ যোগে নিউইর্য়কের উদ্দেশে রওনা হবেন। সেদিন নিউ ইর্য়ক সময় বিকাল ৬টার দিকে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী সফরকালীন আবাসস্থল লোটে নিউ ইর্য়ক প্যালেসে যাবেন।

২০ সেপ্টেম্বর নিউ ইর্য়ক সময় সকাল ৯টায় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের উত্তরের লনে বাগানে বৃক্ষরোপন এবং একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন। এ দিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরকালীন আবাসস্থলে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেল এর সঙ্গে বৈঠক করবেন।বিকেল পৌনে ৩টায় একই স্থানে বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলি’র সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিকেল ৪টায় ‘সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট সলুশ্যন নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।

২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় জাতিসংঘ সদরদফতরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে অংশগ্রহণ করবেন শেখ হাসিনা। এ দিন বিকেলে সফরকালীন আবাসস্থলে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় সফরকালীন আবাসস্থল থেকে ‘হোয়াইট হাউজ গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট: ইন্ডিং দ্য প্যানডেমিক অ্যান্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। দুপুর ১২টার দিকে নেদারল্যান্ডসের রাণী ম্যাক্সিমার সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকালে ‘রোহিঙ্গা সংকট: টেকসই সমাধান অত্যাবশ্যক’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে (ভার্চুয়াল) অংশগ্রহণ করবেন।

২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় ‘ইভেন্ট অব লিডারস নেটওয়ার্ক অন ডেলিভারিং অন দ্য ইউএন কমন এজেন্ডা: অ্যাকশন টু অ্যাচিভ ইকুয়্যলিটি অ্যান্ড কনক্লুশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ। প্রধানমন্ত্রী বেলা ১টায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সভাপতিত্বে ‘ফুড সিস্টেমস সামিট অ্যাজ পার্ট অব দ্য ডিকেড অব অ্যাকশন টু অ্যাচিভ দ্য সাসটেইবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজিএস) বাই ২০৩০ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য রাখবেন। এদিন দুপুরে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে পর্যায়ক্রমে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এবং ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি নগুইয়েন জুয়ান ফুকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

২৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। এদিন দুপুরে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রাত ৮টায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন। ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইর্য়ক থেকে ওয়াশিংটন যাবেন। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন।সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারল্যান্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৯০৪ যোগে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির উদ্দেশে ওয়াশিংটন ছাড়বেন্। সফর শেষ করে ১ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল পৌনে ৮টায় হেলসিংকির ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। তিনি পৌনে ১০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারল্যান্সের বিজি-১৯০৫ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং দিবাগত রাতে সোয়া ১০টায় দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।