আফগানিস্তান থেকে সেনা ও তাদের আফগান মিত্রদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে বিশঙ্খলা নিয়ে সমালোচনায় মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনা এবং সাবমেরিন চুক্তি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক বিরোধের প্রেক্ষাপটে বাইডেনের এই ঐক্যের ডাক বলে মনে করা হচ্ছে। গণতন্ত্র এবং কূটনীতিতে বাইডেন তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আমাদেরকে অবশ্যই একযোগে কাজ করতে হবে, যেমনটি আগে কখনও করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ‘নতুন করে স্মায়ুযুদ্ধে জড়াতে চায় না।

বাইডেন বলেছেন, অভিন্ন চ্যালেঞ্জের শান্তিপূর্ণ সমাধানে যে কোনও দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র, এমনকী নানা বিষয়ে ঘোর মতবিরোধ থাকার পরও।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সপ্তাহান্তে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র স্নায়ুযুদ্ধের দিকে এগুচ্ছে। এই স্নায়ুযুদ্ধ অতীতের চেয়ে ভিন্ন হবে। এ স্নায়ুযুদ্ধ অনেক বেশি বিপজ্জনক এবং সামাল দেওয়া আরও বেশি কঠিন হতে পারে।

আফগানিস্তানে যুদ্ধের অবসান নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিরামহীন এক ‍যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে নিরলস কূটনীতির নতুন যুগের সূচনা করেছে।

বিবিসি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অর্থ সহায়তার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু খাতে তহবিল সহায়তা দ্বিগুণ বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র।সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নীতি ছিল ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। এই নীতি থেকে বেরিয়ে বিশ্বকে ফের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন বাইডেন। এবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সে কথার পুনরাবৃত্তি করে মিত্রদেশগুলোকে আশ্বস্ত করেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আবার বিশ্বমঞ্চে ফিরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র মিত্রদের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাবে। বাইডেন বলেন, আমরা আমাদের সময়ের কোভিড থেকে জলবায়ু, মানুষের মর্যাদা এবং মানবাধিকার সব বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেতৃত্ব দেব। কিন্তু আমরা একা কাজ করব না। কোভিড, জলবায়ু মোকাবেলা, মানবাধিকার রক্ষা, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং আয় বৈষম্য কমানোর মতো নানা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করবে।