রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন

৩০০ সংসদীয় আসনের খসড়া সীমানা চূড়ান্ত: ইসি

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ২৪ বার
আপডেট : রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের খসড়া সীমানা চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই খসড়ার ওপর প্রতিটি সংসদীয় এলাকার যে কোনো ব্যক্তি লিখিতভাবে দাবি-আপত্তি জানাতে পারবেন ১৯ মার্চ পর্যন্ত। আর জুনের মধ্যে সীমানা চূড়ান্ত করা হবে। রবিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

 সোমবার সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের গেজেট হয়ে যাবে বলেও তিনি জানান। এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর  জানান, এখানে নতুন কিছুই নেই। ২০১৮ সালে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটাই অক্ষুণ্ণ রাখা রয়েছে। শুধু প্রশাসনিক বিভক্তি যেগুলো হয়েছে, সেগুলোর পুরনো নাম বাদ দিয়ে নতুন নাম দিয়ে সংসদীয় এলাকার সীমানা করা হয়েছে। সম্ভবত পাঁচ থেকে ছয়টা এ ধরনের হতে পারে। তবে সীমানার কোনো পরিবর্তন নেই। ৩০০ আসনের সীমানা কমিশন অনুমোদন করেছে। এখন সচিব এটি গেজেট করবেন। অপর এক প্রশ্নে ইসি আলমগীর বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে আরও বছরখানেক সময় লাগবে। কিন্তু এ বছর ডিসেম্বর অথবা আগামী বছর জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। তাই আমরা অপেক্ষা করতে পারছি না। তারা খসড়া যেটা দিয়েছে সেটা আমলে নিয়েছি। তবে সংসদীয় আসনের সীমানার বিষয়ে প্রশাসনিক অখ-তা এবং ভৌগোলিক বিষয়টাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এই সীমানা প্রকাশ করার পর যদি কোনো জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় কোনো ব্যক্তি সমস্যা মনে করেন, তাদের ২০ দিন সময় দেব, এরমধ্যে তারা আবেদন করতে পারবেন। প্রত্যেকটি আবেদনই আমরা শুনানি করব। তাদের বক্তব্য যদি সঠিক হয়, কেউ যদি বিরোধিতা না করেন এবং আমাদের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে তাদের বক্তব্য যৌক্তিক, তখন হয়ত আমরা পরিবর্তন আনতে পারি। এছাড়া কোনো পরিবর্তন হবে না। যে কোনো রাজনীতিবিদ বা যে কেউ সীমানা পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন।

ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯ এর দফা (১) এর উপ-দফা (গ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১ এর ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) (খ) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক নির্বাচনী এলাকাসমূহের সীমানা আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (২) অনুসারে প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখ-তা এবং জনসংখ্যার বাস্তব বিভাজনকে যতদূর সম্ভব বিবেচনায় রেখে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।  ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করছে এবং তালিকাটি সম্পর্কে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে লিখিত দাবি/আপত্তি/ সুপারিশ/মতামত আহ্বান করছে।

ইসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমানা পুনর্নির্ধারণে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে ঃ (ক) প্রতিটি জেলার ২০১৮ সালে নির্ধারিত মোট আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা, (খ) প্রশাসনিক ইউনিট বিশেষ করে উপজেলা এবং সিটি করপোরেশন ওয়ার্ডের যথাসম্ভব অখ-তা বজায় রাখা, (গ) ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌর এলাকার ওয়ার্ড একাধিক সংসদীয় আসনে বিভাজন না করা, (ঘ) যে সকল নতুন প্রশাসনিক এলাকা সৃষ্টি হয়েছে বা সম্প্র্রসারণ হয়েছে বা বিলুপ্ত হয়েছে তা অন্তর্ভুক্ত করা, এবং (ঙ) ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যথাযথ বিবেচনায় রাখা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর