রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন

২০৩৫ সালের আডাই কোটি জনবসতির বিবেচনা নতুন ড্যাপ

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১৬৬ বার
আপডেট : শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১

২০৩৫ সালে ঢাকা কোন পর্যায়ে যেতে পারে সেটা বিবেচনা করে প্ল্যান সাজানো হয়েছে। কোনও এলাকায় যেন সুযোগ-সুবিধার তুলনায় অধিক জনবসতি তৈরি না হয় সেজন্য পরিকল্পনায় রাস্তার প্রশস্তের আলোকে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের ড্যাপে মানুষের হেঁটে যাতায়াতের সুযোগ, নৌপথকে কাজে লাগানো এবং পরিবেশকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আয়োজিত খসড়া বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা-ড্যাপ (২০১৬-২০৩৫) চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে জাতীয় সেমিনারে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম এসব তথ্য জানালেন।

ড্যাপের প্রস্তুতকৃত খসড়ায় দেখা যায়, রাজউক কর্তৃক প্রণয়নাধীন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা আগামী ২০ বছরের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০১১-এর বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন প্রায় এক কোটি ৫৫ লাখ মানুষ। ২০৩৫ সালে যা দাঁড়াতে পারে ২ কোটি ৬০ লাখে।

ড্যাপের প্রকল্প এলাকাকে ছয়টি স্বতন্ত্র প্রধান অঞ্চলে এবং ৭৫টি উপ-অঞ্চলে বিভক্ত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিকল্পনায় রাজউকের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার সীমানা ও ব্যাপ্তি অনুযায়ী ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এই তিন সিটি করপোরেশন ও পাঁচটি পৌরসভা যুক্ত হচ্ছে। সেগুলো হলো—সাভার, তারাবো, কালীগঞ্জ (আংশিক), সোনারগাঁ (আংশিক) এবং কাঞ্চন (আংশিক)। এতে যুক্ত হবে তিন জেলার ৬৯টি ইউনিয়ন পরিষদও।

ড্যাপের সীমানা পর্যালোচনায় দেখা যায়, উত্তরে সমগ্র গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, যা ধলেশ্বরী নদী দ্বারা বেষ্টিত, পশ্চিমে সাভারের বংশী নদী এবং পূর্বে কালীগঞ্জ-রূপগঞ্জ যা শীতলক্ষ্যা নদী এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কেরানীগঞ্জ দ্বারা বেষ্টিত রাখা হয়েছে।

ড্যাপে ভূমি ব্যবহার প্রস্তাবনায় ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে নগর ধরা হয়েছে ৬০ শতাংশ এলাকাকে। এতে আবাসিক এলাকা ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (আবাসিক প্রধান) ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (আবাসিক-বাণিজ্যিক) শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ, বাণিজ্যিক এলাকা শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (বাণিজ্যিক প্রধান) ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (শিল্প প্রধান) ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক এলাকা ৪ দশমিক ১ শতাংশ, ভারী শিল্প এলাকা ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ, পরিবহন যোগাযোগ (বিদ্যমান) ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ, পরিবহন যোগাযোগ (প্রস্তাবিত) ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, কৃষি এলাকা ২৯ দশমিক ২২ শতাংশ, জলাশয় ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বনাঞ্চল ১ দশমিক ৪১ শতাংশ, উন্মুক্ত স্থান ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ রাখা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর