রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে চীন: রাষ্ট্রদূত

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ২২ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করেছে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট দেশ গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তা পূরণে পাশে থাকবে চীন। বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের নতুন রাষ্টদূত ইয়াও ওয়েন।

মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এসময় চীনের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ বাড়াতে আগামী মাসে বিজনেস সামিট আয়োজন করার কথাও জানান রাষ্ট্রদূত। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও চীন সম্ভাব্য সবকিছু করবে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে চীনা রাষ্ট্রদূত দেশের মধ্যে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলাপ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে কাজ করবেন বলে জানান। ইয়াও ওয়েন বলেন, এ বছর চীনের অর্থায়নে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প শেষ হতে যাচ্ছে। সামনে আরো কয়েকটি মেগা প্রকল্প আসছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

গত বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনকে একটি ‘বিস্ময়কর’ ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। এ বছরকে একটি জটিল সময় উল্লেখ করে আরো বিনিয়োগ করা হবে বলে জানান। ইয়াও ওয়েন বলেন, সোনার বাংলা বির্নিমাণে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা করা হবে। এটা প্রযুক্তি খাত হতে পারে। তাছাড়া খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষি খাতেও আরো বিনিয়োগ করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানী খাতেও চীন বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানান রাষ্ট্রদূত। চীন আরো অর্থনৈতিক জোন স্থাপনে নজর দিতে পারে জানান নয়া এ রাষ্ট্রদূত।

এক প্রশ্নের জাবাবে রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চালুর বিষয়ে আলাপ চলছে বলে জানান। এ বিষয়ে চীন প্রস্তুত আছে জানিয়ে এ বছরই ঘোষণা আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন রাষ্ট্রদূত। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের ভূমিকা কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়াও ওয়েন বলেন, এ বিষয়ে চীন বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রতিবেশি হিসেবে চীন এ সমস্যা সমাধানে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এটি একটি জটিল সমস্যা, যা গত ৬ বছর বছর ধরে ঝুলে আছে। এটার সাথে অনেক পক্ষ জড়িত রয়েছে। চীন এ ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করছে। তবে দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হবে বলেও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নতুন এ চীনা রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে বন্ধুত্বকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত। চীনের কাছ থেকে প্রযুক্তিখাতসহ অনেক বিষয়ে শিক্ষনীয় আছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। দেশটির অর্থনৈতিক উত্থান উৎসাহ সৃষ্টি করে বলেও জানান মন্ত্রী। পারস্পারিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে চীন কাজ করতে চায় বলেও জানান মন্ত্রী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর