মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
“স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ বছরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় মহান বিজয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।”
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী সভায় বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যাতে মহান বিজয় দিবস তথা সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসব ব্যাহত করতে না পারে, সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।”মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়াসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে।
এর অংশ হিসেবে গতবছর উদযাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তা সীমিত করে আনতে হয়। পরে মুজিববর্ষের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এ বছর মার্চে স্বাধানীতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর জোড়া আয়োজন একসঙ্গে চলে দশ দিন ধরে। প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্রনেতারাও তাতে অংশ নেন।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ। আর এর মধ্য দিয়েই মুজিববর্ষ উদযাপনের সমাপ্তি ঘটবে।