তিন উপজেলা মিলিয়ে এই সংসদীয় আসনের ১৪৯টি কেন্দ্রে শনিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, তা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এই নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোতে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। নেই দীর্ঘ লাইন।
প্রধমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হওয়ায় কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েন ভোটাররা।
নতুন এ ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না ভোটারদের। ইভিএমে ভোট সম্পর্কে ধারণা দিতে গত ২৬ জুলাই তিন উপজেলায় মক ভোটিং হয়েছিল, কিন্তু তাতে ভোটারদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে কিছু ভোটার বলছেন যে যন্ত্রে দ্রুতই ভোট দিতে পেরেছেন তারা।
সকাল সাড়ে ৮টায় জালালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র
এসময় তিনি বলেন, “ভোট শান্তিপুর্ণভাবে হচ্ছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।”
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে এই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী (মোটর গাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব)।
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক সক্রিয় থাকলেও নীরব ছিলেন ভোটাররা। অনেকের শঙ্কা ছিল, কেন্দ্রে ভোট দিতে ভোটাররা আসেবেন কি না? সকালে কেন্দ্রে স্বল্প উপস্থিতি সেই শঙ্কাই সত্যি করল।
তবে নির্বাচনী কর্মকর্তারা আশা করছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট হচ্ছে। এখনও কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তাছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে মাঠে রয়ে
নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। আর প্রতিটি উপজেলায় একজন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে রয়েছেন ১৮ থেকে ১৯ জন।
এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ২১টি মোবাইল ফোর্স, ১২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ১২টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে।
তিন উপজেলার ১৪৯টি কেন্দ্রের ৯৩টি কেন্দ্রেই ঝুঁকিপুর্ণ হিসেবে চিহিৃত করেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।
আসনটির দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৭৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টি, বালাগঞ্জ উপজেলার ৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৫টি এবং ফেঞ্চুগঞ্জের ৩৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৭টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপুর্ণ মনে করা হচ্ছে। এসব কেন্দ্রে রয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
সিলেট-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার।