রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন

সাকিব-সোহানের লড়াইয়ে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৫৭ বার
আপডেট : শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২

প্রথম টেস্টে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লাঞ্চ বিরতির আগেই স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১১৫ রান। বিরতির পর সাকিব আল হাসান-নুরুল হাসান সোহানের লড়াইয়ে অন্তত ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা কেটে গেছে। দুজনের ৫০ ছাড়ানো জুটিতে লিডও নিয়েছে সফরকারীরা।

৬৩ ওভারে ৬ উকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ১৭২ রান। সাকিব ক্রিজে আছেন ৩৮ রানে, সোহান ব্যাট করছেন ২৬ রানে। বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ১০ রানের। এর আগে অবশ্য জীবন পেয়েছেন সাকিব। মেয়ার্সের ৫০.৩ ওভারের ডেলিভারিতে এজ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা ক্যারিবীয়রা বুঝতে পারেনি। রিপ্লেতে দেখা গেছে বল ব্যাটে লেগেছিল সাকিবের।

আশা করা হচ্ছিল প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার ছায়া হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসে পড়বে না। কিন্তু বাজে শট সিলেকশনে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই পথ হারায় বাংলাদেশের ইনিংস। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগেই হারায় ৬ উইকেট। প্রথম সেশনে ২৯ ওভার খেলা হয়েছে। ৬৫ রান যোগ করে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৪ উইকেট।

দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে সতর্ক শুরুর দিকে মনোযোগী ছিলেন দুই ওপেনার। তামিম ইকবাল-মাহমুদুল হাসান জয় মিলে ভালো শুরুর ইঙ্গিতও দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দশম ওভার পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছে তামিমের প্রতিরোধ। আলজারি জোসেফের সুইং করা গুড লেংথের ডেলিভারি ঠিকমতো ডিফেন্ড করতে পারেননি। বল ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে জশুয়া ডা সিলভার গ্লাভসে। ৩১ বল খেলা তামিম ফেরেন ২২ রানে। তুলনায় জয় ছিলেন বেশি সাবধানী। মিরাজ ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে তার সঙ্গী হতে চাইলেও পরিকল্পনা কাজে দেয়নি। ২ রানে জোসেফের বাড়তি বাউন্সারে পরাস্ত হয়ে ধরা পড়েছেন প্রথম স্লিপে।

তারপর হালকা প্রতিরোধে দ্বিতীয় দিনটা নির্বিঘ্নে পার করেন জয়-শান্ত। ২ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনেও এই প্রতিরোধ টেকে ৩০ মিনিটের বেশি। ২৯ রান যোগ করা জুটিটি ভাঙে শান্তর বাজে শট সিলেকশনে। কাইল মেয়ার্সের বাড়তি বাউন্সের বলটা খেলতে গিয়ে এজ হয়ে জমা পড়েন ক্যাম্পবেলের হাতে। তাতে ৪৫ বল খেলা ব্যাটারের ইনিংস শেষ হয় ১৭ রানে।

প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া মুমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। মেয়ার্সের বলে দুর্বল ডিফেন্সের খেসারত হিসেবে লেগ বিফোর হয়েছেন ৪ রানে। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। অবশ্য তার আগে ৩৪.১ ওভারে অল্পের জন্য রানআউট হওয়া থেকে বেঁচেছেন এই ব্যাটার।

মুমিনুলের ফেরায় ৭৫ রানে বিদায় নেন ৪ জন। দলের বিপর্যয়ে লিটন দাসকে ত্রাতা ভাবা হলেও সেই সম্ভাবনার ইতি ঘটিয়েছেন নিজেই। তার শট খেলার ধরন দেখে বোঝার উপায় ছিল না এটা টেস্ট ম্যাচ। রোচের গতিময় বাইরের বল টি-টোয়েন্টি স্টাইলে খেলতে গেলে সাধারণ ক্যাচে পরিণত হন দ্বিতীয় স্লিপে থাকা মেয়ার্সের। ১৫ বল খেলা লিটনের ইনিংসই বলে দেয় কতটা আগ্রাসী হয়ে খেলেছেন তিনি। ১৭ রানের মধ্যে বাউন্ডারি ছিল ৩টি।

তবে বাকিদের বাজে শট সিলেকশনের ভিড়ে ব্যতিক্রম ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে প্রান্ত আগলে খেলেছেন গতকাল থেকে। তৃতীয় দিনেও প্রায় দুই ঘণ্টার মতো প্রতিরোধ গড়েছেন। কিন্তু লাঞ্চে যাওয়ার দশ মিনিট আগে বাজে শট সিলেকশনের ভূত পেয়ে বাসে তাকেও! শরীর থেকে রোচের বেশ বাইরের ডেলিভারিটি খেলতে গিয়ে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন জশুয়া ডা সিলভার। উইকেট বিলিয়ে দেওয়ায় ১৫৩ বল খেলা জয়ের ইনিংসটি শেষ হয়েছে ৪২ রানেই। তাতে ছিল ৩টি চার।

বাংলাদেশ টস হেরে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৩ রানে গুটিয়ে গেছে। তারপর ক্যারিবীয়দের ২৬৫ রানে আটকে রাখা গেলেও প্রথম ইনিংসের ১৬২ রানের লিড স্বাগতিকদের সুবিধাজনক স্থানে রাখে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর