রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন

সাংবাদিকরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে: তথ্যমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১৯৯ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২

সাংবাদিকরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সবকিছুতে ‘না’ বলে বিএনপি। তারা এই কল্যাণমূলক প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করছে। আশা করি তারা ‘না’ রোগ থেকে মুক্তি পাবে।

মঙ্গলবার ১ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর পরিচালনায় সম্মেলনে ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ডিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সূর্য প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা পেনশনের দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সমাজের সব মানুষ এই পেনশন সুবিধার আওতায় আসবে, সাংবাদিকরাও আসবে। সাংবাদিকরা এর আওতায় আসার ক্ষেত্রে প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের একটি দায়দায়িত্ব আছে এবং থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর এমন একটি যুগান্তকারী ব্যবস্থার ঘোষণা, যা ইউরোপীয় সমাজকল্যাণমূলক রাষ্ট্রে রয়েছে; পত্রিকার পাতায় দেখলাম বিএনপি নেতারা সেটি নিয়েও সমালোচনা করছে।

মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে পারে, যে মানুষটি স্বপ্ন দেখতে ভয় পায় তাকেও সাংবাদিকরা স্বপ্ন দেখাতে পারে। যারা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেন এবং হুমকির সম্মুখীন হয়েও সমাজে অবহেলিত, উপেক্ষিত মানুষকে নিয়ে লেখেন, আমি তাদের ‘স্যালুট’ জানাই,  কারণ এ ধরনের রিপোর্ট দরকার। এ ধরনের রিপোর্ট সমাজকে পথ দেখায় এবং দায়িত্বশীলদের আরও দায়িত্ববান হতে তাগাদা দেয়। গণমাধ্যমের আজকে যে অগ্রগতি সেটি এবং কোনও অসংগতি থাকলে সেটিও তুলে ধরুন তারা। আমাদের সরকার সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করে।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম জগতে বিরাজমান কয়েক দশকের পুঞ্জিভূত বিশৃঙ্খলা দূর করে ধীরে ধীরে আমার চেষ্টায় অনেক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাবল অপারেটররা টেলিভিশন মালিকের কাছে দাবি করতো যে, বেশি টাকা না দিলে সিরিয়াল যাবে পঞ্চাশে। টাকা দিলে সিরিয়াল যাবে পাঁচে। সেখানে সিরিয়াল ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এখন টেলিভিশন মালিকদের আর অপারেটরদের দারস্থ হতে হয় না। বিদেশি মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন চলে যাওয়া বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকেই মনে করেছে বিদেশি টিভি’র ক্লিনফিড বা বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার কখনোই সম্ভব না, সেটি আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। সংবাদপত্রে অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনেকে বাস্তবায়ন করেছে, আবার অনেকেই করে নাই। নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ব্যাপারে সাংবাদিক ইউনিয়ন সোচ্চার আছে। আমি মনে করি যে, সবার নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা উচিত। আমরা এ নিয়ে কাজ করবো।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, তথ্য কমিশন গঠিত হয়েছে। যারা সরকারের সমালোচনা করেন তারাও এই ট্রাস্ট থেকে সাহায্য পাচ্ছেন। করোনাকালে দেশের সব অঞ্চলের সাংবাদিকরা সহায়তা পেয়েছে। সাংবাদিকদের ছেলেমেয়েরাও যাতে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা পায় তার জন্য নীতিমালা হচ্ছে, সেই নীতিমালা খুব সহসা চূড়ান্ত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর