রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন

সংসদ নির্বাচনের সকালে ব্যালট যাবে কেন্দ্রে, চিন্তা ইসি’র

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ৭ বার
আপডেট : রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর চিন্তার কথা জানালেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সময়ে ব্যালটে অনুষ্ঠিত ভোটগুলোর নির্বাচনি সামগ্রী সকালে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের সিদ্ধান্ত হয়তো নিতে পারি। যেগুলোতে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব সেগুলোকে চিহ্নিত করা এবং যেখানে পাঠানো সম্ভব নয়, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে ব্যালট পেপার পাঠাবো, পথে যেন মিসইউজ বা ছিনতাই না হতে পারে।
নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে রবিবার (৬ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এমন পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, এবারও ব্যালটেই নির্বাচন হবে। আগেও যেভাবে এগোনো হয়েছে, এবারও সেভাবেই হবে। ব্যালটে নির্বাচনে যাতে কোনোরকম অপব্যবহার না হতে পারে, সে জন্য আমাদের কিছু কৌশল আছে। সেগুলো আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করবো। তার মধ্যে যেমন একটা–আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠাই, যদি না যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে বাজে অবস্থা না থাকে বা উন্নত না হয়; এই ধরনের ক্ষেত্রে একটু আগে পাঠাই। যোগাযোগ যেখানে ভালো, ভোর ৪টায় যাত্রা শুরু করলে ভোট শুরু হওয়ার আগেই পৌঁছাতে পারবে, সেসব কেন্দ্রে আমরা সকালে ব্যালট পাঠাই।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা আছে কিনা–এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে ফরমাল কোনও আলোচনা হয়নি। চিন্তা-ভাবনাও নাই। কারণ, আপনারা জানেন যে ৩০০ আসনে যখন ভোট হয় চার লাখ ভোটকেন্দ্র থাকে। সেখানে হয়তো বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকবে। এত কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা দেখা কঠিন। আমরা সে ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা… আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সদস্য নিয়োগ করবো।

তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, সেখানে এমনিতেই একটা ভারসাম্য থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে বরং তারাই শৃঙ্খলা রক্ষায় একটা ভূমিকা নেয়। কারণ, তারা জানে নির্বাচনে যদি কোনও পরিস্থিতির অবনতি হয় বা ভণ্ডুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিষয় নিয়ে কোনও চাপ আছে কিনা–এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়ে কোনও চাপ নেই। থাকবে কেন? আমরা প্রথম থেকেই বলছি, বিদেশি পর্যবেক্ষক যত খুশি আসতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনও লিমিটেশন নেই। তারা আমাদের কাছে আবেদন করলে সেটা পাঠিয়ে দিই পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তারা আবার এটা পর্যালোচনা করে দেখে যে আবেদনকারীরা আসলেই পর্যবেক্ষক কিনা, অতীতে পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ত ছিল কিনা। অনেক সময় তারা মানবপাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে অথবা অন্য অন্যায় কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। তারা এগুলো দেখে আরকি। এরপর ভিসা দেওয়া হলে আমাদের তরফ থেকে আপত্তি থাকে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর