শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারকে কেউ সরাতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১৫১ বার
আপডেট : শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন এটা তাদের শেষ লড়াই, আমরা শেষ লড়াই করেছি ১৯৭১ সালে। এ দেশে যারা মামুনুল হকদের জায়গা করে দিয়েছে সেই মামুনুল হকদের আপনারা শিক্ষা দিয়েছেন। পাঁচ বছর দেশ চালিয়ে আমরা যখন সংগ্রাম করছি। আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার। এ সরকারকে কেউ সরাতে পারবে না।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সোনারগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নবিউল্লাহ হিরু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল ক্রান্তি দাস, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত শহিদ মো. বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন,সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাস পুড়িয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল তারা। এই হলো বিএনপি। অসভ্য বর্বর, নৃশংস। নারায়ণগঞ্জ থেকে একজন  ঢাকা যাচ্ছিল। তিনি গাড়িতে আগুন দিয়েছিল। এ হলো বিএনপি। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল মানুষ ছিল নিরুপায়। আমরা তখন বলেছিলাম বিএনপি নিজের কবর নিজে খুঁড়ছে। আমরা খাদের কিনারে, তোমরা খাদে হাবুডুবু খাচ্ছো। নাকটা আছে সেটাও পানির নিচে গিয়ে ডুবে মরবা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই রাজনীতি করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক সুসংহত। তাদের দায়িত্ব জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া। বাংলাদেশে আর কোনো দিন আমরা তাণ্ডব করতে দেব না। পঁচিশ বছর পরে এখানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে। নেতা না থাকলে এত জনসমাগম কীভাবে হয়। এখানে আসার সময় রাস্তার দুইধারে কত মানুষ দেখলাম। আমরা জীবন বাজি রেখে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। পৃথিবীর বুকে একটা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম। তরুণরা যেভাবে এখানে এসেছে তারা আমাকে উজ্জীবিত করেছে। তিনি বলেন, ছোটখাটো ভুল থাকলেও আওয়ামী লীগ কর্মীদের দল। বঙ্গবন্ধু বলতেন আওয়ামী লীগের খুঁটি তৃণমূলের কর্মীরা। পঁচিশ বছর কমিটি না থাকার পরেও আপনারা বার বার এমপি উপহার দিয়েছেন।
বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ২০০৮ সালে বিপুল বিজয় নিয়ে সরকার গঠন করি। সেদিন জাতির কাছে বলেছিলাম দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করব। শরীর পরিচালনার জন্য যেমন রক্ত লাগে দেশ চালাতে বিদ্যুৎ লাগে। আমরা রাস্তাঘাটসহ অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারি আজ চৌদ্দ বছব। আপনাদের নিশ্চই মনে আছে বিএনপির আমলে সার চাইতে যাওয়ায় সার না দিয়ে বুলেট দিয়েছে। সেই জবাব আপনারা দিয়েছেন ভোটের মাধ্যমে। জননেত্রী সারের দাম কমিয়েছেন। এই গত চৌদ্দ বছরে আমরা এক টাকা সারের দাম বাড়াইনি।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন কৃষক দরদী। তার রাজনৈতিক জীবন জুড়ে ছিল বাংলার কৃষক ও কৃষির উন্নতি। পৃথিবীর কোথাও ১৬ টাকায় ডিএফই সার পাবেন না। আজ প্রতি কেজি ইউরিয়ায় ৬০ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছি। প্রতিবছর সাত আট হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেই। নেত্রী কৃষকদের কথা ভেবে সারের দাম এক টাকাও বাড়াননি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে সারের দাম বাড়িয়েছে গুলিও করেছে তারপরও সার পাওয়া যেত না। তাদের সময় ২৩ হাজার কোটি টাকা ছিল দেশের উন্নয়ন বাজেট। আজ শেখ হাসিনা ২৮ হাজার কোটি টাকা শুধু কৃষকদের দেন। আগে প্রতিবছর দুর্ভিক্ষ হতো। আমরা চাল দিতাম জননেত্রী শেখ হাসিনা টাকা দিতেন। আজ টাঙ্গাইলে যে ফোরলেন রাস্তা, পদ্মা সেতু। দেখলে আত্মা জুড়িয়ে যায়। এটা বাংলাদেশ না টোকিও সিটি। পৃথিবীর তিনজন রাষ্ট্রপ্রধান সবচেয়ে সৎ। সেখানে দুই নম্বরে শেখ হাসিনা। এই দলে আমি, মৃণাল কান্তি, মির্জা আজমসহ আমরা কেউই কোনো ফ্যাক্টর না। এ দলের একমাত্র ফ্যাক্টর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি নেত্রী হাল ধরেছে। আগামী নির্বাচনে আমরা আবারও সরকার গঠন করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর