রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে গণতন্ত্রকেই বন্দি করা হয়েছিল: তথ্যমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৫৬ বার
আপডেট : শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকেই বন্দি করা হয়েছিল। ২০০৮ সালের ১১ জুন তার মুক্তির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রও মুক্তি পেয়েছে।

শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবরণ দিবস’উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতার দরকার নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য তাকে দরকার। এই দেশকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর জন্য শেখ হাসিনাকে দরকার। আমরা সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব যদি মানুষকে জিম্মি করা, বিভ্রান্তি ছড়ানো, জ্বালাও-পোড়াও করা এবং নেতিবাচক রাজনীতি বন্ধ হয়। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তৎকালীন সেনাসমর্থিত এক-এগারোর সরকারের সকল অন্যায়, অবিচার এবং দুর্নীতির একমাত্র আপসহীন প্রতিবন্ধক ছিলেন বলেই তাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেদিন প্রকৃতপক্ষে শুধু ব্যক্তি শেখ হাসিনাকেই গ্রেফতার করা হয়নি, দেশের গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরানো হয়েছিল।

এক-এগারোর সময়ের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যাকে গ্রেফতারের কদিন পর খালেদা জিয়ার পারসোনাল উইংয়ের এক কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে বললো, আমাদের ম্যাডামও তো গ্রেফতার হতে পারেন। একসঙ্গে কিছু করতে পারলে ভালো। আমি জবাব দিয়েছিলাম, এই সিদ্ধান্ত তো দলীয়ভাবে হতে হবে। আমার মনে হয়েছিল সেটা সমীচীন হবে না। কারণ আমরা বিএনপির অনাচার-অবিচার, অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আন্দোলন করছিলাম। বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপির নেতাকর্মীরা শেষ পর্যন্ত আন্দোলনে নামেনি। তখন আমাদের দলের অনেক বড় নেতা বেসুরে কথা বলেছেন। কিন্তু তৃণমূলে দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, সে সময় আমাদের শ্রদ্ধাভাজন নেতা জিল্লুর রহমান বিচক্ষণতার সঙ্গে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। নেত্রী যখন কারাগারে তখন জিল্লুর রহমান ছিলেন আমাদের অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। সঙ্গে ছিলেন শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয়। দল ঐক্যবদ্ধ ছিল বলে কর্মীদের মনে আশা ছিল। তারা ঐক্যবদ্ধ ছিল। খবর বাসস’র


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর