রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন

শুরু হলো বাণিজ্য কার্যক্রম ভারতের সঙ্গে রুপিতে লেনদেনের যুগে বাংলাদেশ

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ১২ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩

ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্যের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের কর্মকর্তারা রুপিতে বাণিজ্য শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে প্রতিবেশী দুই দেশ এই উদ্যোগ নিলো।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এই লেনদেনের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তামিম অ্যাগ্রো ও ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়াকে এলসি দেওয়া হয়। পরে সোনালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ভারতের স্টেট ব্যাংক ও আইসিআইসিআই ব্যাংক আমদানি ও রফতানিকারকদের হাতে এই এলসি তুলে দেন।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম, ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলি রেজা ইফতেখার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মো. সলিমুল্লাহ, বিডার চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিঞা, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ ও বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার। বাংলাদেশ সেখান থেকে বছরে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে। আর ভারতে রফতানি করে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এই আলোচনা চলছিল। ব্যবসায়ীরাও এর দাবি করে আসছেন অনেক দিন ধরে। এবার তা বাস্তব রূপ পেলো। এখন ডলারের পাশাপাশি রুপিতেও বাণিজ্য হবে।
তিনি বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারত ভ্রমণের সুবিধার্থে আগামী সেপ্টেম্বরে ‘টাকা-রুপি কার্ড’ চালুর সম্ভাবনার কথা জানান। এই কার্ড দিয়ে দেশে ও প্রতিবেশী ভারতে বিল পরিশোধ করা যাবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, আজ থেকে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন সুবিধা চালু হলো। তার আশা, এই পদ্ধতি থেকে উভয় দেশই লাভবান হবে।
উদ্বোধনী এই অনুষ্ঠান যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন। বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংক উভয় দেশের মধ্যে রুপিতে বাণিজ্য করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংক।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ দেশের আমদানিকারকদের কিছুটা স্বস্তি দেবে। তারা প্রতিবেশী দেশ থেকে পণ্য কিনতে রুপিতে এলসি খুলতে পারবেন। ফলে ডলারের ব্যবহার কিছুটা কমবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক ও ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে (এসবিআই) প্রতিবেশী দেশটিতে তাদের অংশীদারদের সঙ্গে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (এমন অ্যাকাউন্টে যেকোনও ব্যাংক অন্য ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রায় অর্থ জমা রাখে) খোলার অনুমতি দিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর