রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:০১ পূর্বাহ্ন

দুই বছর বন্ধ থাকার পর শুক্রবার বিশ্ব ইজতেমা শুরু

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ৩০ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৩

করোনা ভাইরাসের কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর আগামীকাল শুক্রবার থেকে টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে।

প্রথম পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। পরে চারদিন বিরতি দিয়ে ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্বের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আলেমওলেমা গ্রুপের যোবায়ের পন্থী অনুসারীরা। আর দ্বিতীয় পর্বের নেতৃত্বে থাকছেন আদি তাবলীগ জামাতের নয়া দিল্লির মুরুব্বি মাওলানা সাদ পন্থী গ্রুপের অনুসারী মুসল্লীগণ।

বিশ্ব ইজতেমা শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার থেকেই হাজার হাজার তাবলীগ অনুসারী মুসল্লী ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। বাস, ট্রাক, ট্রেন পায়ে হেঁটে মুসল্লীরা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসছেন।

করোনার কারনে গত দুই বছর ইজতেমা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এবার আগেভাগেই মুসল্লীর মাঠে এসে উপস্থিত হচ্ছেন। মুসল্লীর দলে দলে মাঠের ভেতরে ঢুকে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। হাজার হাজার মুসল্লীর উপস্থিতিতে ইজতেমা ময়দান পূর্ণ হতে শুরু করেছে। গত ১ মাস ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে তাবলীগ অনুসারী মুসল্লীরা মাঠের প্রস্তুতি কাজে অংশ নেন। প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল মাঠটিকে বাঁশের খুঁটির উপর চটের ছাওনির প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। বয়ান শোনার জন্য লাগানো হয়েছে ছাতা মাইক।

বিদেশি তাবলীগ অনুসারী মুসল্লীদের জন্য মাঠের উত্তর পশ্চিম কোনে আলাদ থাকা খাওয়ার ব্যবস্হা করা হয়েছে। থাকছে পুলিশ, র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম। র‍্যাবের সিসি ক্যামেরায় পুরো মাঠটিকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সাত হাজারেরও বেশি পুলিশ, আনসার, র‍্যাব সদস্য এবং সাদা পোষাকে ইজতেমার ভেতর বাহিরসহ টঙ্গী উত্তরার পুরো এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করবেন।

গাজীপুর জেলা প্রসাশক আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট টিম অনিয়মের বিচারে থাকবে পুরো টঙ্গী জুড়ে। ৩১টি টয়লেট বিল্ডিংয়ে এক সঙ্গে ৯ হাজার মুসল্লী তাদের প্রাকৃতিককাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। বিআরটিসি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে ইজতেমার মুসল্লীদের আনা নেয়ায় বিশেষ বাস ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা নিয়েছে। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশে তুরাগ নদীর উপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাঁচটি ভাসমান সেতু নির্মাণ করেছে মুসল্লীদের পারাপারের জন্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর