শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

রিপোর্টার / ১১৮ বার
আপডেট : সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১

আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এতে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর মন্ত্রিসভার সদস্যরা যোগ দেন সচিবালয় থেকে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বৈঠকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানাবে। উনারা এটা নিয়ে আলোচনা করছেন কীভাবে কী করা যায়। আগে তো ভ্যাকসিনেশন তারা জোরদার করছে। যাতে ছাত্রদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া যায়। তারপরে দেখা যাক। এ বিষয়ে পরে উনারা আপনাদের ব্রিফ করবেন।’

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকে আরও উৎসাহিত করতে ৬  অক্টোবরকে ‘জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস’-এর পরিবর্তে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দিবসটি উদযাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকার এতদবিষয়ক পরিপত্রের ‘গ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন হয়।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবটি অনুমোদনের কারণ ব্যাখ্যায় সচিব বলেন, ‘এসজিজির একটা লক্ষ্যমাত্রা আছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের ৮০ শতাংশ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কমপ্লিট করতে হবে। ওয়ান অব দ্য টার্গেট।’

সাধারণ মানুষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়ে এ সিদ্ধান্ত বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪-এর ৮ ধারা অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন এবং কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে। এটাকে আরও ইফেক্টিভ করার জন্য দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ আরও উদ্বুদ্ধ হয়।’

সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ক্যাবিনেটকে একটা ইনিশিয়েটিভ নিয়ে একটা কোঅর্ডিনেশন যেন করা হয়।’

সিটি করপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা। ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম-মৃত্যুর রেজিস্টারও আছে বলেও জানান তিনি।

ভ্যাকসিনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী সেদিন বৈঠক শেষে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। হেলথ মিনিস্ট্রি এ বিষয়ে আপনাদের ব্রিফ করবে। এটা আজকের মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি।’

বিধিনিষেধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিনোদন কেন্দ্র এবং গ্যাদারিংয়ের পারমিশন দেওয়া হয়নি।’

অর্ধেক গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাজেশন দেওয়া হয়েছে অন্তত কিছু দিন আপনারা এটা করে দেন। জেলা পর্যায়ে ডিসি, এসপি, পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে বসে ঠিক করে দেবে, যতগুলো বাস আছে অর্ধেক আজকে চলবে, পরের দিন বাকি অর্ধেক চলবে।’ তিনি বলেন, ‘এটা মেইনলি আন্তজেলা বাসের জন্য। বাইরে থেকে কম সংখ্যক বাস যাতে আসে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শ্রমিক ইউনিয়নের মালিক শ্রমিক যারা আছে তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা একটা পদ্ধতি বের করবে। বেইজিংয়ে আমি দেখেছি এমন।’

অর্ধেক বাস চলার ফলে আরেও বেশি সমস্যা তৈরি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘একসঙ্গে বেশি গাড়ি যেন ঢাকা বা চট্টগ্রামের দিকে না ঢোকে। এটা লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিদ্ধান্ত নেবে। সিটির ক্ষেত্রেও মেট্রোপলিটন পুলিশ ও মালিক সমিতি সিদ্ধান্ত নেবে। কোনও কিছু ভায়োলেশন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। সবকিছু আমরা লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর