রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৪৩ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২

অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন এবং তাদের পক্ষে জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে মাধ্যমে চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ওপর জোর দিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) জেনেভায় এই প্রস্তাব গৃহীত হয়।

জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামিক সম্মেলন সংস্থা-ওআইসি’র সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি পেশ করা হয়।

মিয়ানমারের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শুরু থেকেই প্রস্তাবের বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রবল মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে প্রত্যাবাসন বিষয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের মতবিরোধ দেখা যায়। মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় উল্লেখ করে বিষয়টি প্রস্তাব থেকে বাদ দেওয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এই প্রেক্ষাপটে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে বাংলাদেশ তার শক্ত অবস্থান জোরালোভাবে তুলে ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর এ প্রচেষ্টা মোকাবিলা করে। অবশেষে, সুদীর্ঘ আপস-আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হলো।

প্রস্তাবটিতে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এছাড়া, তাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়া পর্যন্ত এ গুরুভার বহনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়।

গৃহীত এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধসহ সব ধরনের নির্যাতন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনা ও তদন্ত প্রক্রিয়া জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকেও সমর্থন জানানো হয়। এছাড়া, প্রস্তাবটিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলমান সব প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে এরূপ পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এখতিয়ারের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

প্রস্তাবে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারকে মিয়ানমার বিষয়ক ‘নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশন’-এর সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর মানবাধিকার পরিষদ এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রতিবেদন উপস্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া, এ প্রস্তাব গ্রহণের মধ্য দিয়ে ‘রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বিষয়ে মানবাধিকার পরিষদে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর