শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৬ প্রস্তাব

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৯৫ বার
আপডেট : সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে চলমান সংলাপে অংশ নিয়ে আইন প্রণয়নসহ ছয়টি প্রস্তাবনা দেয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। সংলাপের ১২তম দিনে রবিবার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তাব দেয়। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এক ব্রিফিংয়ে বলেন, এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতিকে আইন প্রণয়নসহ ছয় দফা প্রস্তাব করেন। তারা এই মুহূর্তে আইন প্রণয়ন সম্ভব না হলে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির পরিবর্তে ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন দেশপ্রেমিক মানুষদের নিয়ে দেশের জনগণের আস্থাভাজন ও গ্রহণযোগ্য পাঁচ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন, যেখানে অন্তত দু’জন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা নির্বাচন কমিশনকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত না নিয়ে কোনও নির্বাচনি বিধিবিধান প্রণয়ন না করার প্রস্তাব করেন। প্রতিনিধি দল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তাব করে। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের দক্ষতার চেয়েও সরকারের নিরপেক্ষতা বেশি জরুরি।

বঙ্গভবনে তাদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা অপরিহার্য। রাষ্ট্রপ্রধান তাদেরকে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।

 প্রেস সচিব জানান, রাষ্ট্রপতি এখনও পর্যন্ত ১৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ১২ দিনে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন। গত ২০ ডিসেম্বর চলমান সংলাপের প্রথম দিনে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনায় বসেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। এর মধ্যে চারটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেননি। দলগুলো হলো— বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি।

প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)সহ এ যাবত নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দলকে বঙ্গভবনে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারি সোমবার সংলাপ হবে জাতীয় পার্টি (জেপি) এর সঙ্গে সন্ধ্যা ছয়টায় এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সঙ্গে সন্ধ্যা সাতটায়। মঙ্গলবার ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টায় সংলাপ হবে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে এবং ওই দিন সন্ধ্যা সাতটায় বৈঠক হবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) এর সঙ্গে।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে ১২ জানুয়ারি বিকাল চারটায় এবং ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি এনপিপির সঙ্গে একই দিনে সন্ধ্যা ছটায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টায় সংলাপ হবে জাকের পার্টির সঙ্গে, এদিন রাত সাতটায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গে এবং রাত আটটায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেবি)সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে। ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি সংলাপে বসবেন আগামী ১৭ জানুয়ারি বিকাল চারটায়।

এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চার জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন ইসি গঠন করবেন। আর এর অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর