রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

যেভাবে আদালত থেকে ছিনিয়ে নেয় দুই জঙ্গিকে

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ৩৫ বার
আপডেট : রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২২

পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয় চার জঙ্গি। সিসি টিভির ফুটেজে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে যেভাবে পালিয়ে গেছে এই দুই জঙ্গি।

সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে নেয়ার জন্য দুটি মোটরসাইকেলে করে আসে চারজন জঙ্গি। একপর্যায়ে পুলিশের চোখে স্প্রে করে ছিনিয়ে নেয়া হয় ওই দুই আসামিকে। পরে মোটরসাইকেলে করে তারা পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই আসামি বসেন মোটরসাইকেলের মাঝখানে। আর তাদের জড়িয়ে ধরে রাখেন পেছনে বসা ব্যক্তি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, পুরো কাজটি হয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে। চার আসামি কোর্টে হাজিরা দিয়ে যাচ্ছিল। তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন একজন পুলিশ এবং একজন আনসার সদস্য। গেটের সামনে আসার পরপরই ওই চার আসামি পুলিশ ও আনসার সদস্যকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। এছাড়া বাইরে আরও চারজন বাইক নিয়ে আসে। আসামিদের মারধরে পুলিশ সদস্য রক্তাক্ত হন। ফলে তার হাতে থাকা দুই আসামি ছেড়ে দেন তিনি।

এদিকে আনসার সদস্যকে মারধর করা হলেও তিনি আসামিকে না ছাড়লে পরে স্প্রে মারা হয় তার চোখে। কিন্তু তারপরও তিনি আসামি ছাড়েননি। আর পুলিশ সদস্য যে দুই আসামিকে ছেড়ে দিয়েছেন তারা বাইরে রাখা মোটরসাইকেলে উঠে চলে যায়।

রাস্তার বিপরীত পাশ থেকে মোটরসাইকেলে থাকা লোকেরা সিগন্যাল দেওয়ার পরই গেটের কাছে এসে আসামিরা পুলিশকে কিলঘুষি দেওয়া শুরু করে। এর মধ্যে গেটের দারোয়ান ধরতে এলে তাকেও স্প্রে মারা হলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পার্কিংয়ে আরও তিন জন ড্রাইভার ছিলেন, তাদেরও স্প্রে মেরে অজ্ঞান করা হয়। পথচারী ছিলেন অনেক, তাদের মধ্যে প্রথম কয়েকজনকে স্প্রে মারার পর বাকি পথচারীরা সরে যান। প্রকাশ্য দিবালোকে কাজ হয়েছে, কিন্তু অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ভয়ে আর কেউ আগায়নি।

অপরদিকে, দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজধানীতে রেড অ্যালার্ট এবং সারাদেশে আদালতে নিরাপত্তা জোরদারেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রবিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে সিনেমা স্টাইলে পালিয়ে যায় এই দুই জঙ্গি।

পলাতক দুই আসামি হলেন- মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল। শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের মাধবপুর গ্রামে। সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেটোশ্বর গ্রামে।

ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় আজ তাদের হাজিরা ছিল। হাজিরা শেষে তাদের হাজতখানায় নেওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর