রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন

যুদ্ধজাহাজ তৈরি দেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রতীক: প্রধানমন্ত্রী

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ১০ বার
আপডেট : বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩

সরকার শুধু দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের কারও সঙ্গে কোনও ধরনের যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছে নেই। আমরা প্রকৃতপক্ষে কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাই না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুধু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। নিজেদের যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করা দেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রতীক।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিএনএস শের-ই-বাংলা’র নবনির্মিত ঘাঁটি, ৪১টি পিসিএস-এর চারটি জাহাজ ও চারটি এলসিইউর কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বানৌজা শের-ই-বাংলার কমিশনিং করা ছাড়াও খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত চারটি পেট্রোল ক্রাফট ও চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটিরও (এলসিইউ) কমিশনিং করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। শুরুতেই বিএনএস শের-ই বাংলা, ৪১ পিসিএসের চারটি জাহাজ ও চারটি এলসিইউর ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। পরে নৌবাহিনী প্রধান ঘাঁটির অধিনায়ক কমডোর এম মহব্বত আলীর হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন। এরপর বাহিনীর রীতি অনুযায়ী, নামফলক উন্মোচন করা হয়।
কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বিএনএস শের-ই-বাংলার বেস কমান্ডার এবং চারটি জাহাজের কমান্ডার এবং ৪১ পিসিএসের চারটি এলসিইউর কাছে কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী বিএনএস শের-ই-বাংলা ঘাঁটি এবং ৪১ পিসিএসের চারটি জাহাজ ও চারটি এলসিইউর নেমপ্লেটও উন্মোচন করেন। পরে নৌবাহিনীর ঐতিহ্য অনুযায়ী বিএনএস শের-ই-বাংলা ঘাঁটি, চারটি জাহাজ এবং চারটি এলসিইউতে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়, যা নৌবাহিনীতে ‘রঙ’ নামে পরিচিত।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখতে সরকার নৌ বাহিনীকে আধুনিক ও সুসজ্জিত করেছে। দক্ষিণাঞ্চলের দুর্গম এলাকায় নৌ-ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় নৌবাহিনীর অপারেশন কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়বে। এছাড়া চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি অবৈধ মৎস আহরণ, চোরাচালান দমন, মানবপাচার রোধ, জলদস্যুতা এবং মাদকপাচার রোধসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, সরকার নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে তারা আন্তর্জাতিক স্তরের যোগ্যতা ও মান অর্জনের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে উঠেছে। হেলিকপ্টার কেনার পাশাপাশি সাগরে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের কাজ চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর