যুক্তরাজ্যের পরিবহন বিভাগ বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় জানায়, বাংলাদেশসহ ৩৭টি দেশের টিকা সনদকে তারা যুক্তরাজ্যে বৈধ টিকা সনদের তালিকায় যুক্ত করে নিয়েছে। যেসব দেশে যুক্তরাজ্য সরকারের অনুমোদিত কোভিড টিকা দেওয়া হয়, সেই তালিকাতেও বাংলাদেশের নাম উঠেছে। যুক্তরাজ্য সরকার এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের চারটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো হল- অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, ফাইজার-বায়োএনটেক ও জনসন অ্যান্ড জনসন। কেবল এসব টিকা নেওয়া হলেই সেই সনদ গ্রহণ করবে যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে প্রথম তিনটি টিকা বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে। জনসনের টিকা বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেলেও এখনও টিকাদান কর্মসূচিতে যুক্ত করা হয়নি।
যুক্তরাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম বলেন, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে উষ্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং দুদেশের মধ্যে ব্যবসা ও পর্যটনসহ জরুরি ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাধা দূর করতে হাই কমিশনের অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল।যুক্তরাজ্যের অনুমোদিত টিকার দুই ডোজ পাওয়া যে বাংলাদেশিরা আগামী সোমবার ভোর ৪টার পর টিকার সনদ দিয়ে যুক্তরাজ্যে যাবেন, তাদের ক্ষেত্রে হোটেলে বা বাসায় ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। বাংলাদেশ থেকে রওনা হওয়ার আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ নেওয়ারও আর দরকার হবে না। তবে ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর পরপরই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। টিকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে প্রত্যেক ভ্রমণকারীদের বাংলাদেশের অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের দেওয়া টিকার সনদ সঙ্গে রাখতে হবে। বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা টিকা নেননি অথবা যুক্তরাজ্য সরকারের অনুমোদিত নয়- এমন টিকা পেয়েছেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ১০ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর পর দ্বিতীয় ও অষ্টম দিন তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে।