রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন

যত্রতত্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ৪৭ বার
আপডেট : রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যত্রতত্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। আবাদি জমি ও তিন ফসলি জমির কোনো ক্ষতি করা যাবে না। শিল্পায়নের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়িয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনবো।

রবিবার সকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) ৫০টি শিল্প ইউনিট, প্রকল্প ও সুযোগ-সুবিধা উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।

দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে আবাদি জমি রক্ষায় পরিকল্পিত শিল্পায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে যুব ও নারীদের এ খাতে অবদান রাখার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও ৫০টি শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামোর উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে গিয়ে আজ আমি খুবই আনন্দিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার সময় বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা এনে দেন এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের মান-মর্যাদা বিশ্বে যেন আরও বৃদ্ধি পায় সে পদক্ষেপ নেয়। তিনি বলেন, আমরা সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছি বলেই ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটা ধরে রাখতে হবে। সেজন্য আমাদের ব্যাপক শিল্পায়ন দরকার। কৃষি ও শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিসহ আমাদের নতুর নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে এবং জনগণের আর্থসামাজিক উন্নতি করে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে, যেন নিজস্ব বাজার সৃষ্টি হয়। সরকার সে কারণেই সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে এবং প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই বেশ কয়েকটি ইপিজেড নির্মাণ করেছে।

উত্তরবঙ্গে প্রথম নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড প্রতিষ্ঠার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এরই মধ্যে ইপিজেড করতে ৯৭টি জায়গা আমাদের সরকার ঠিক করে রেখেছে। সেখানে পর্যায়ক্রমে বিনিয়োগ আসবে। কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক ধাক্কা সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশে লাগলেও তার সরকার সেটি সামলে নিয়ে অর্থনীতিকে গতিশীল রাখায় সচেষ্ট রয়েছে। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে আমাদের ক্রয়ক্ষমতায় সীমাবদ্ধতা নেমে এসেছে। আমদানি পণ্যের দাম এবং পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। ফলে অনেক দেশ মন্দায় ভুগছে।

শিল্প মালিকদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নিজের ইন্ডাস্ট্রি চালিয়ে অন্তত দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের প্রচেষ্টা চালাবেন আপনারা। আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। এখন আর হাওয়া ভবন নাই যে আপনাদের কোনো কাজ পেতে হলে সেখানে পাওনা ঘুচাতে অথবা এখানে-ওখানে ছোটাছুটি করতে হবে। আমরা দেশকে নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন। ব্যবসার ক্ষেত্র প্রস্তুত এবং সুযোগ-সুবিধা আমরা করে দিচ্ছি। আপনারা প্রত্যেকেই দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। যত বেশি মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন সরকার তত বেশি আপনাদের সহযোগিতা দেবে। কিন্তু এমন কিছু করবেন না যেন মানুষ কষ্ট পায় বা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তিনি বলেন, কৃষিজমি যেমন আমাদের বাঁচাতে হবে তেমনই শিল্পোৎপাদনও করতে হবে। সেজন্য যত্রতত্র যেন শিল্প গড়ে না ওঠে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

৫০টি শিল্প সুবিধার মধ্যে চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে (বিএসএমএসএন) চারটি কারখানা এবং বেসরকারিভাবে পরিচালিত বিভিন্ন ইজেডে আটটি কারখানা খোলা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর