পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির বিবেচনায় প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা বাস্তবসম্মত হয়নি। তবে তা আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সম্ভব হতে পারে।
বুধবার (৭ জুন) অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা সংস্থা র্যাপিড-এর চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক। ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মির্ধা। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু ইউসূফ, বিল্ড-এর সিইও ফেরদৌস আরা বেগম, দৈনিক প্রথম আলো’র অনলাইন বিভাগের প্রধান শওকত হোসেন মাসুম বক্তব্য রাখেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার কিছু ভর্তুকি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে, তবে কৃষি ও খাদ্যে ভর্তুকি রাখা হবে। কারণ এগুলো ভালো ভর্তুকি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সমাজতান্ত্রিক সরকার নয়, তবে বৈষম্য কমানোর বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ রয়েছে।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে কলকাতা ও আগরতলা খুব বেশি দূরে নয়। তাই দুই দেশের বাজারের মধ্যে পণ্যমূল্যে এত তফাৎ হওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশের বাজারে কোথাও কোনও সমস্যা আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে দেখে বাণিজ্যমন্ত্রী বললেন, দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে না এলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর দাম কিছুটা কমলো। কিন্তু পরে যখন ব্যবসায়ীরা দেখলেন সরকার কিছু করছে না, তখন দাম আবার বেড়ে গেলো। এখন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, দামও কমছে।
এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীও আমদানিনির্ভর পণ্যের মজুত গড়ে তোলার পক্ষে। বিভাগীয় পর্যায়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর মজুত গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। চালের মজুত তৈরি করার ফলে এখন বাজার স্বাভাবিক। একইভাবে অন্যান্য পণ্যেরও মজুতের দরকার বলে মনে করেন ।