রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন

মিল মালিকদের শুধু লাভ নয়, ভোক্তার দিকেও নজর রাখতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ২০০ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকের আমন ফসল উৎপাদন ভালো হয়েছে। সরকার আমন ধান ও চালের যৌক্তিক দামও নির্ধারণ করেছে। তাই আমন সংগ্রহে সংশ্লিষ্টদের গাছাড়া ভাব বরদাশত করা হবে না। মিল মালিকদের শুধু লাভের কথা চিন্তা করলেই হবে না, ভোক্তার দিকেও নজর রাখতে হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ অভিযান ২০২১-২২ এর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায়’ তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে সভায় খাদ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, খাদ্য অধিদফতরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিল মালিকরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। যেসব জেলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকিউরমেন্ট শতভাগ অর্জিত হবে, প্রয়োজনে তাদের আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। যেসব জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না, তাদের জবাবদিহি করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, এখন আবহাওয়া অনুকূলে। এখনই প্রকিউরমেন্ট জোরদার করতে হবে। কোনোভাবেই গাছাড়া ভাব বরদাস্ত করা হবে না।

জানুয়ারি মাসের মধ্যে আমন সংগ্রহ সম্পন্ন করতে মাঠ কর্মকর্তাদের তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেড লাইসেন্স ছাড়া কেউ খাদ্যশস্য মজুত করতে পারবে না। ফুড গ্রেড লাইসেন্সধারীকে পাক্ষিক ক্রয়-বিক্রয়ের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। অবৈধ মজুতদারির বিরুদ্ধে মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চল শস্যভাণ্ডার। এ অঞ্চল থেকে বেশি ধান সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে। ধান-চাল সংগ্রহকালে কোনও কৃষক কিংবা মিল মালিক যেন হয়রানির শিকার না হন, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্যমন্ত্রী মিল মালিকদের উদ্দেশে বলেন, দেশে ধান-চালের অভাব নেই। বিগত সময়ে ২৯ লাখ মেট্রিক টন আমদানির অনুমতি দিলেও আমদানি হয়েছে ৮ লাখ মেট্রিক টন। এসময় দেশে চালের অভাব হয়নি। এতে প্রমাণ হয়, চালের যথেষ্ট মজুত থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ চালের মজুত নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।  মিল মালিকদের শুধু লাভের কথা চিন্তা করলেই হবে না, ভোক্তার দিকেও নজর রাখতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর