রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন

মাহমুদউল্লাহ : ভুল করতে পারি, তাই বলে ছোট করা উচিত নয়

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ১১৮ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১

সহযোগী সদস্য স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ওমানে জরুরি সভায় বসেন নাজমুল হাসান পাপনসহ বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪১ রান তাড়া করে ৬ রানে হারের কারণ জানাতে গিয়ে তিন সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর কড়া সমালোচনা করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। বোর্ড সভাপতির এমন সমালোচনা মোটেও পছন্দ হয়নি বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের!

বৃহস্পতিবার পাপুয়া নিউ গিনিকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সুপার-টুয়েলভ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মিস্টার কুল খ্যাত মাহমুদউল্লাহ। রাগ, ক্ষোভ, কষ্ট নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন, ‘শক্ত হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। বিগত কয়েক দিনে…ঠিক আছে আমরাও মানুষ। আমরাও ভুল করি। এ কারণে একদম ছোট করে ফেলা ঠিক না। এটা আমাদের দেশ। আমরা সবাই এক দেশের জন্য খেলি। সবারই প্রত্যাশা থাকে এবং আমাদের যে পরিমাণ বেশি অনুভূতি, তা আর কারও নাই মনে করি। খারাপ খেললে সমালোচনা হবেই। কিন্তু একেবারে ছোট করে ফেলা ঠিক নয়। সব সেক্টরেই এমন হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম ও বাইরে থেকেও।’

মাহমুদউল্লাহ মনে করেন সমালোচনা করতে গিয়ে কাউকে ছোট যেন করা না হয়, ‘সমালোচনা আমাদের স্পর্শ করে। আমরাও মানুষ, পরিবার আছে। আমাদের বাবা-মা রা’ও বসে থাকেন টিভির সামনে। আমাদের বাচ্চারাও খেলা দেখে। তারাও মন খারাপ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তো এখন মানুষের হাতের নাগালে। সবার মোবাইল আছে, সমালোচনা তো হবেই। আমরাও আশা করি সমালোচনা হোক। আমরা খারাপ খেলেছি, সমালোচনা হবেই। কিন্তু সমালোচনার মাধ্যমে কেউ কাউকে ছোট করে ফেললে, সেটা কিন্তু খারাপ লাগে।’সমালোচনা হলে সেটা যেন সুস্থ প্রকৃতির-ই হয়, এমনটি মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘অনেক প্রশ্ন এসেছে। আমাদের ব্যাটিংয়ের স্ট্রাইক রেট, আমাদের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের স্ট্রাইক রেট নিয়ে। আমরা তো চেষ্টা করেছি। চেষ্টার বাইরে তো আমাদের কাছে কিছু নেই। এরকম না যে আমরা চেষ্টা করিনি। আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু ফল আমাদের পক্ষে আনতে পারিনি। সমালোচনা হবেই, এটা কাম্য। কিন্তু সুস্থ সমালোচনা হলে সবার জন্য ভালো। আমরাও অনুভব করি, বাংলাদেশের জার্সিটা যখন আমরা গায়ে দেই, তখন আমাদেরও সম্মান অনুভব হয়।’

ক্রিকেটপ্রেমী সাধারণ মানুষের সমালোচনা ক্রিকেটাররা গায়ে মাখেন না। কিন্তু বোর্ড সভাপতির বক্তব্য কষ্ট দিচ্ছে ক্রিকেটারদের, ‘সবারই ত্যাগ থাকে, কারো ব্যথা থাকে। কারো অনেক ইনজুরি থাকে। ওগুলো নিয়েই আমরা খেলি। দিনের পর দিন খেলি। পেছনের গল্পগুলো অনেকেই জানে না। এজন্য কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন করা ঠিক না। আশা করি, এখন কিছুটা স্বস্তি পাবো। সবচেয়ে বড় কথা, দলের ভেতরে যে উদ্বেগ ছিল ওটা নেই। এজন্য খেলোয়াড় এবং প্রত্যেক টিম ম্যানেজমেন্টকে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। শুধু আমরাই নই, আমাদের স্টাফ, সোহেল ভাই (ম্যাসাজম্যান), রমজান (থ্রোয়ার) প্রত্যেককে ক্রেডিট দিতে হবে। আশা করছি, ভালো কিছু হবে সামনে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর