রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

মানুষ রক্ষায় রাষ্ট্রগুলোর উদ্যোগ যথেষ্ট নয় : তথ্যমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১০৫ বার
আপডেট : সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পৃথিবীতে মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমরা মনুষ্য সম্প্রদায় ও রাষ্ট্রগুলো যেসব পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত গ্রহণ করেছি, মানুষকে দীর্ঘমেয়াদে রক্ষা করার জন্য সেগুলো যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, এখানে উন্নত রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে যারা গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ বেশি ঘটাচ্ছে, তাদের আরও এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) এবং আইডিইবি আয়োজিত ‘কপ২৬: প্রাপ্তি ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-আইডিইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মির্জা মো. শওকত আলী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন— সেন্টার ফর ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশের পরিচালক হাফিজুল ইসলাম খান, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার ও ফারুক রহমান রুমি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ‘কপ২৬’-কে সফল না বললেও ব্যর্থ বলতে পারি না। কপ২৬-এর ভালো দিক হচ্ছে—সেখানে কয়েকটা বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপিত হয়েছে। যেমন, পৃথিবীর ১৪১টি দেশ বনায়ন বৃদ্ধি এবং কয়লা থেকে শক্তি উৎপাদন কমিয়ে ফেলার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রগুলো যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা পৃথিবীতে মানুষকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য যথেষ্ট নয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের নিষ্পাপ শিকার। কারণ, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কোনোভাবেই দায়ী নই। আমাদের জনপ্রতি গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ উন্নত দেশগুলোর তুলনায় নগণ্য। অথচ বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের চেয়ারপারসন। বাংলাদেশের ওপর কোনও বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন—২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের শক্তি উৎপাদনের ৪০ শতাংশ সবুজ প্রযুক্তিতে হবে। এটি অত্যন্ত উচ্চভিলাষী পরিকল্পনা।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এবার কপ২৬ সম্মেলনে সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে গেছেন দুই শতাধিক সাংবাদিক। তাদের বেশিরভাগকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটি একটি চিন্তার বিষয়। এটি ভবিষ্যতে খেয়াল রাখতে হবে। মন্ত্রণালয়ের যেমন দায়িত্ব রয়েছে তেমনি সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও পরিবেশনের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর