রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন

মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জনতার সংঘর্ষে পুলিশ নিহত, অস্ত্র লুট

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ৬ বার
আপডেট : শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩

উত্তেজনা থামছেই না ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মণিপুরে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের রাজধানী ইমফলে এক পুলিশ কর্মকর্তা গুলিতে নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে বিষ্ণুপুরে অন্তত দুটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার চালিয়ে স্বয়ংক্রিয় বন্দুকসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করেছে বিক্ষুব্ধরা।
মণিপুর পুলিশ জানায়, বিষ্ণুপুরে মণিপুর সশস্ত্র পুলিশের দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নের কেইরেনফাবি পুলিশ ফাঁড়ি এবং থাঙ্গালাওয়াই পুলিশ ফাঁড়িতে হামলায় চালায় একদল নারী-পুরুষ। তারা ভাঙচুর করার পাশাপাশি অস্ত্র লুট করে। বিক্ষুব্ধরা হেইনগাং এবং সিংজামেই থানা থেকেও অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের চেষ্টা করেছিল। তবে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সশস্ত্র আক্রমণকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে কাউতরুক, হারাওথেল ও সেনজাম চিরাং এলাকায় গোলাগুলি হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে এক নিরাপত্তাকর্মীসহ দুই জন আহত হয়েছেন। ইমফলের পশ্চিমে সেনজাম চিরাংয়ে স্নাইপারের গুলিতে মণিপুরের এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। সন্দেহভাজন জঙ্গিরা কাছের পার্বত্য রেঞ্জ থেকে কাউতরুক ও সেনজাম চিরাংয়ে গুলি চালালে এক স্বেচ্ছাসেবকও আহত হন। বিষ্ণুপুর ও চুরাচাঁদপুর জেলার মধ্যবর্তী সীমান্ত ফুগাকচাও ইখাইতে ৫ শতাধিক মানুষের একটি ভিড় জড়ো হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে অন্তত ২৫ জন সামান্য আহত হয়।
পুলিশ জানায়, মণিপুরের পার্বত্য ও উপত্যকা দুই জেলায় মোট ১২৯টি চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অন্তত এক হাজার ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদা প্রশ্নে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যটির মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে তিন মাসের বেশি সময় ধরে সংঘর্ষ চলছে। এতে কয়েকশ’ মানুষ নিহত হয়েছেন, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সূত্র: এনডিটিভি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর