মজুরি বাড়ানোর পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন চা-শ্রমিকরা। তাদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।শনিবার (২০ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দফতরের কার্যালয়ে সভা শেষে নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়। এরপর বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নিপেন পাল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিপেন পাল বলেন, নতুন করে চা-শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে সরকারের এ প্রস্তাব মেনে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন চা-শ্রমিকরা। এর আগে দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে অষ্টমদিনের মতো চলছিল চা-শ্রমিকদের আন্দোলন। ধর্মঘট চলাকালে সরকার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হলেও মজুরি সমস্যার সমাধান না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন চা-শ্রমিকরা।
শনিবার বিকাল ৩টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বিভাগীয় শ্রম দফতরের কার্যালয়ে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে শ্রম অধিদফতর। সিদ্ধান্ত আসার পর বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে শ্রম অধিদফতরের মহা-পরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুস শহীদ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি এবং চা-শ্রমিকদের পক্ষে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরাসহ সাতটি টি ভ্যালির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ শ্রমিকনেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।