রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:০১ পূর্বাহ্ন

ভারত বিনিয়োগ করলে দূরে যাওয়ার দরকার নেই: ওবায়দুল কাদের

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ১৩ বার
আপডেট : বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩

ভারত উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ আর কারও কাছে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যদি সেইভাবে বিনিয়োগ করেন, তাহলে আমাদের দূরে যাওয়ার দরকার নেই।

বুধবার (২৪ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ  প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মা, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে আমাদের যে রোড কানেক্টিভিটি ও রেল— এই দুই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি অনেক এগিয়ে গেছে। এই ট্রানজিট সুবিধার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে উভয়ই লাভবান হচ্ছি। আমি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, আমাদের দেশের স্বার্থে উন্নয়নের স্বার্থে।

নিজেদের স্বার্থেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু সমাধান আছে, তবে তা বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য ওপেন আছে। কিন্তু মুখ দেখাদেখি বন্ধ করলে এবং সম্পর্ক নষ্ট করলে, আমরা সামনের দিকে এগোতে পারবো না। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পিছিয়ে থাকবে।

বিশ্বের ধনী ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তথ্য জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি ২০-তে যোগ দিতে আবারও সম্ভবত সেপ্টেম্বরে ভারতে যাবেন। এর মধ্যে আমাদের পার্টি টু পার্টি একটা কনটাক্ট, সেটাও ভারতে বিজিপি ইনভাইট করেছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে। আমরা আশা করছি, জুলাই মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল (ভারতে) যাবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের বিজেপি, পার্টি টু পার্টি কনটাক্ট দরকার, জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় করার জন্য, সেতুবন্ধনের জন্য। তিনি বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রচিত হয়েছিল, তা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর অবিশ্বাস আর সন্দেহে রূপ নেয়। কিন্তু ওই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যদি অব্যাহত রাখতে পারতাম, আমরা লাভবান হতাম। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় সেটি হয়নি। হয়নি বলে আমাদের এই অবিশ্বাস ও সন্দেহ একটি দেয়াল তৈরি করেছিল। এটা ভাঙা দরকার ছিল। সেটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের নরেন্দ্র মোদি ভেঙেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মাঝে যে ব্যবধান ছিল,  আমরা অনেকগুলো সমাধান করতে পেরেছি। যদি আমাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক, পারস্পরিক সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে আলাপ-আলোচনা করে সবকিছু সমাধান সম্ভব, আমরা যেখানে সীমান্ত সমস্যা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় যে সন্ত্রাসবাদ চলতো, সেটি বন্ধ হয়েছে। এখান থেকে তা করার কোনও সুযোগ নেই। একইভাবে ভারতও কোনও সুযোগ দিচ্ছে না। তারাও এই বিষয়ে জিরো টলারেন্স। এজন্য সীমান্তে বর্ডার সন্ত্রাসবাদ যেটা দু’দেশের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আসতো, সেটা আর হচ্ছে না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বিআরটিসির বহরের বেশিরভাগ গাড়ি ভারতের প্রস্তুত করা। এখন আমাদের বিআরটিসির বহরে ১১’শর মতো গাড়ি এসেছে। নতুন করে সবার জন্য বৈদ্যুতিক ডাবলডেকার ১০০ এসি বাস নভেম্বরের মধ্যে আনার কথাবার্তা হয়েছে। আশা করি, বিআরটিসির বহর আরও সমৃদ্ধ হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর