রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন

ভারত আমেরিকাকে কিছু বললে নিজেদের স্বার্থে বলেছে: ওবায়দুল কাদের

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ৬ বার
আপডেট : শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আঞ্চলিক রাজনীতির বিষয়ে এই ভূখণ্ডে ভারত এবং আমেরিকার অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। তাই ভারত আমেরিকাকে কিছু বললে নিজেদের স্বার্থে বলেছে। এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ নয়। তিনি বলেন, চারদিক থেকেই বিপদ, নানা রকম বিপদ আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। আজকে ডেঙ্গু থেকে সাবধান, ডেঙ্গুর মতোই ভয়ংকর বিএনপি থেকে সাবধান। আজকে দেশের প্রধান ২ শত্রু। এক শত্রু ডেঙ্গু, আরেক শত্রু হচ্ছে বিএনপি।
শনিবার (১৯ আগস্ট) ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা উপকমিটির ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্তের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের (ভারত) সৈন্যরা রক্ত দিয়েছেন, আমাদের লোকজনদের-শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে; সেটা কি অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ নয়? তিনি বলেন, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। পঁচাত্তরে আমরা ক্ষমতা হারিয়েছি। তখন তো ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়নি! ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতা থেকে চলে গেছি। জনগণ চায়নি, আমরা সরে গেছি। সেটাই বলবো এক কথায়। ষড়যন্ত্রের বিষয় তো আছেই। নির্বাচনের ব্যাপারটা ভারত বা কোনো বিদেশি শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাবে, কাউকে ক্ষমতাচ্যুত করবে এ নিয়ে আমার মনে হয় গণতন্ত্রে যারা বিশ্বাস করে তাদের এ মন্তব্য করা অশোভন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি তাকিয়ে আছে আমেরিকার দিকে, কখন নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি দেবে তার আশায়। তাকাতে তাকাতে চোখের পাওয়ার কমে গেছে। এখন আর কিছু দেখতে পায় না। আর আওয়ামী লীগ তাকিয়ে আছে দেশের জনগণের দিকে। তিনি বলেন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে দেশের জনগণ ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবার রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবে।
আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই দাবি করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ২০ বছরের দণ্ডিত আসামি। তিনি কাপুরুষিত রাজনীতি করছেন, তাই তার নেতৃত্বে কোনও আন্দোলনে সফল হবে না।
কাদের বলেন, আমরাও জানি, আমাদের ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। বিএনপি অবশ্য কারো দিকে তাকিয়ে নেই, বিএনপি তাকিয়ে আছে শুধুমাত্র আমেরিকার দিকে- কখন নিষেধাজ্ঞা আসবে, কখন ভিসা নীতি আসবে। তিনি বলেন, বিদেশে অর্থ পাচার করা করেছে এটা ধরা পড়ে গেছে। এফবিআই সাক্ষ্য দিয়েছিল। মামলায় দণ্ডিত তাদের নেতা, ২০ বছরের। পালিয়ে গেছে লন্ডনে।
আজকে মানুষকে বাঁচানোর রাজনীতি সবার আগে মন্তব্য করে কাদের বলেন, আমাদের সিটি করপোরেশন, মন্ত্রণালয় প্রত্যেকে বসে আছে হাত গুটিয়ে সে কথা আমি বলবো না কিন্তু এই কর্মসূচিটি- ডেঙ্গুবিরোধী অভিযান জোরদার করা উচিত। আরও সমন্বিত করা দরকার এবং জোরদার করা দরকার। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর