রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন

ব্যাংক লেনদেনে মিথ্যা তথ্য দিলেই জেল-জরিমানা

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ২৫৭ বার
আপডেট : সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১

ব্যাংক, কোম্পানির মাধ্যমে গৃহীত বা সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে কোম্পানির মালিক, পরিচালক, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনও কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের পদ থেকে অপসারণের বিধান রেখে ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস আইন, ২০২১’ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনে ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কীভাবে লেনদেন হবে, পরিশোধ হবে, পরিচালনা হবে এবং সেবা কীভাবে দেওয়া হবে, সেগুলো খসড়া আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দিতে পারবে। ধরুন কাউকে কোনও কারণে সাসপেন্ড করা হলো, তুমি লেনদেন করতে পারবে না, কিন্তু সে যদি আদেশ ভঙ্গ করে লেনদেন করে তাহলে তাকে এ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এটাই সর্বোচ্চ শাস্তি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জানান, যেসব পেমেন্ট এবং  সেটেলমেন্ট হচ্ছে ব্যাংকে, সেখানে কোনও আইন ছিল না। কিছু রেগুলেশন দিয়ে পরিচালিত হতো। বর্তমান অবস্থায় ডিজিটাল লেনদেন হওয়ার কারণে এ আইন নিয়ে আসা হয়েছে। খসড়া আইনে ৪৭টি ধারা রয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি এটার মধ্যে ইনভলভ নয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি ইজ নট এ কারেন্সি। ওটা কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনুমোদিত কোনও ট্রানজেকশন নয়। ডিজিটাল ব্যাংকিং ডাজ নট মিন ক্রিপ্টোকারেন্সি, এটা খেয়াল রাখতে হবে।

নতুন আইন করার প্রয়োজন হলো কেন- এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পেমেন্টের যে ব্যবস্থাপনা, সে বিষয়ে কোনও আইন ছিল না, বিধিমালার অধীনে করা হতো। এখন দেখা যাচ্ছে যে এটা ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। এগুলো বিধিবিধানের মধ্যে ছিল না। সেজন্য পুরো পদ্ধতিগুলো আলাদা করে আইনে আনা হয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা তথ্য, দলিল বা বিবৃতি দিলে অনধিক তিন বছরের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। খসড়া আইনটি নগদ, বিকাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর