রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের টিয়ারশেল

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৭৫ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা এলাকার একটি গ্রুপ অব কোম্পানির তিনটি কারখানার শ্রমিকরা চলতি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সড়কের বেশ কয়েকটি গাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি কারখানা ভাঙচুর করেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মালেক খসরু জানান, চান্দনা এলাকার জায়ান্ট গ্রুপের সফি প্রসেসিং ইন্ডস্ট্রিজ লিমিটেড, মেভিস গার্মেন্টস লিমিটেড ও জায়ান্ট নিট ফ্যাশনের দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক কাজ করেন। গত মার্চ মাসের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নির্ধারিত তারিখে (১১ এপ্রিল) পরিশোধ করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) কাজে যোগ দিতে শ্রমিকরা সকাল সোয়া ৭টার দিকে কারখানার গেটে এসে জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তারা চলতি এপ্রিল মাসের বেতন ভাতাসহ ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা চলতি এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতা আগামী ১৫ এপ্রিল এবং ঈদ বোনাস ২০ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধের দাবি জানান। তারা প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং শ্রমিক অংশগ্রহণকারী (পার্টিসিপেন্ট) কমিটি বাতিলের দাবি জানান।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পাশের কারখানাগুলোতে গিয়ে তাদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিতে অন্য শ্রমিকদের আহ্বান জানিয়ে কারখানায় প্রবেশে বাধা দেন। এ সময় তারা হাসান তানভীর ফ্যাশন লিমিটেড ও লিবাস নিটওয়্যার লিমিটেডসহ আশেপাশের কয়েকটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করতে থাকেন। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শ্রমিকরা ঢাকা-গাজীপুর সড়কে উঠে বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করতে করতে চান্দনা চৌরাস্তার দিকে যেতে থাকেন। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং পথচারীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড এবং ৫ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) মোখলেসুর রহমান মুকুল বলেন, ‘শ্রমিকরা পূর্ব ঘোষণা ছাড়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে চলতি এপ্রিল মাসের বেতন এবং আসন্ন ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। শ্রমিকদের পাওনাদি সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।’

ওসি মালেক খসরু জানান, এ ঘটনার পর দুপুরে পুলিশের মধ্যস্থতায় কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতন ও আসন্ন ঈদ বোনাস পরিশোধের আশ্বাস দেয়। এ সময় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বুধবার (১৩ এপ্রিল) থেকে সব শ্রমিক কাজে যোগ দেবেন বলে আশ্বাস দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর