রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন? প্রধানমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৮২ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‌রাষ্ট্রপতি যখন আমাদের সবাইকে সংলাপে ডাকলেন। গেলাম। কিন্তু বিএনপি যায়নি। তারা আসলে যাবেই-বা কী? তারা ক্ষমতায় গেলে কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন? কে নেতৃত্ব দেবেন? একজন হচ্ছেন এতিমের টাকা খেয়ে সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ আরও বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালাতক।

মঙ্গলবার ১৫ মার্চ গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুর বশর মাইজভান্ডারী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতান্ত্রী পার্টির শাহাদাত হোসেনসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

তারেক জিয়ার নাম উচ্চারণ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‌২০০৭ সালে থেকে ওখানে বসে বসে… আমি এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি তার সুবিধা নিচ্ছে, এটা ঠিক। বিএনপির আসলে তেমন কেউ নেই, তারা এটা-সেটা উল্টাপাল্টা বলেই যাচ্ছে, বলেই যাবে; কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, জনগণ যাতে ভালো করে বাঁচতে পারে।

ফসল উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারও এতটুকু জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। যে যা পারেন সেটাই উৎপাদন করেন। প্রত্যেকটা এলাকাই কিছু না কিছু উৎপাদন হবে; সেটাই আমার লক্ষ্য। আমাদের যে খাদ্য চাহিদা সেটা যেন পূরণ করতে পারি। সরকারের কাছে যথেষ্ট খাদ্য মজুত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, এখনও ১৮ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে আমাদের। সেখানে কোনও অসুবিধা নেই। আমরা এক কোটি মানুষকে স্পেশাল কার্ড দিয়ে দেবো। সেই কার্ড দিয়ে ন্যায্য মূল্যে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি জিনিস কিনতে পারবে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম বেড়ে যায় তখন খুব বেশি তো আমাদের কিছু করার থাকে না। এ ক্ষেত্রে কিছু তো কম্প্রোমাইজ করতে হবে। তবে রোজার সময় দ্রব্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যে ৩৮ লাখ লোককে আমরা টাকা দিচ্ছি, সেটা তো থাকবেই। সেটা ধরে আমরা আরও এক কোটি লোককে বিশেষ কার্ড করে দেবো। এর বাইরে ৫০ লাখ লোককে একটি কার্ড দেওয়া আছে, তা দিয়ে তারা মাত্র ১০ টাকায় চাল কিনতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা আছে। জনগণ যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর