রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন

বিএনপির মুখে অর্থপাচার নিয়ে কথা মানায় না: তথ্যমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১৪৮ বার
আপডেট : সোমবার, ১৬ মে, ২০২২

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার ভাই অর্থপাচারের দায়ে আদালতে দণ্ডিত, তাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কালো টাকা সাদা করেছেন। তাদের আমলে দেশ পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। তাদের মুখে অর্থপাচার নিয়ে কথা মানায় না।

সোমবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানী শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রে উত্তরণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. আব্দুস সামাদ, সামাজিক বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বিশিষ্ট কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায়।

পি কে হালদার ধরা পড়ার পর বিএনপি নেতারা অর্থপাচার নিয়ে নানা কথা বলছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অর্থপাচারের বিষয়ে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দেয়। তার ভাইয়ের অর্থপাচার সিঙ্গাপুরে উদঘাটিত হয়। সেই অর্থ ফেরত আনা হয়। তারা তো বিশ্বচোর ছাড়া কিছু নয়। বয়সে আমার জ্যেষ্ঠ ফখরুল সাহেবের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি সেই বিশ্বচোরের মুখপাত্র। তিনি বলেন, যারা অর্থপাচার করেছে তাদের আইনের আওতায় আনছি। সে কারণেই পি কে হালদার ধরা পড়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং তার ভাই ছাড়াও আরও কারা অর্থপাচার করেছে আমাদের জানা আছে। সেগুলোও আপনারা জানতে পারবেন।

ড. হাছান বলেন, শ্রীলঙ্কার উদাহরণ বাংলাদেশকে দিয়ে লাভ নেই। যে দেশ নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে, যে দেশ শ্রীলঙ্কাকে দুইশ’ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়, তারা তা ফেরত দিতে না পারছে না, যে কারণে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা আমরা বাড়িয়ে দিয়েছি; সেই দেশের সরকারকে এই উদাহরণ দেওয়া অনর্থক এবং অপপ্রচার। মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের কথা বলে বিএনপি সারা দেশে সমাবেশের নামে নিজেরাই মারামারি করে। আমরা এখনও মাঠে নামিনি, যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়, আমরা মাঠে নামবো। যারা উঁচু গলায় বক্তৃতা করেন, কি করলে তারা গর্তে লুকাবেন সেটা আমরা ভালো করেই জানি। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্রের অগ্নিবীণা, অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর