শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৯:৪১ অপরাহ্ন

বিএনপির নেতা কে: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৬৫ বার
আপডেট : বুধবার, ২২ জুন, ২০২২

দেশের বাম দলগুলো দাঁড়ি-কমা-সেমিকোলন নিয়ে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বিএনপির নেতা কে সেটাও জানতে চেয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে জনগণের ভোট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকবেন না বলে দলের অবস্থান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক প্রভাষ আমিনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে এই উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন একটা দল। যে দলটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একেবারে গণমানুষের মাধ্যমে। সেই সময়ে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে, তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবাদ করতে গিয়েই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। আমাদের প্রতিপক্ষ যে কয়টা দল আছে, তাদের জন্মস্থানটা কোথায়? যদি ধরেন মূল একটি দল আছে বিএনপি। বিএনপি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে একজন মিলিটারি ডিক্টেটর, যে মিলিটারি ডিক্টেটর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। খুনি মোশতাকের সঙ্গে তার হাত মেলানো ছিল এবং মোশতাক যাকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল জাতির পিতাকে হত্যার পর। সে যখন নিজেকেই নিজে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে, তখন প্রেসিডেন্ট সায়েম সাহেব, তাকে সরিয়ে দিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ল জারি করে। সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ল জারি করে যে ক্ষমতা দখল করে, প্রথমে তো তার মিলিটারি উর্দি পরেই একাধারে সেনাপ্রধান, একাধারে রাষ্ট্রপতি। ঠিক আইয়ুব খান যেটা করেছিল, সেই আইয়ুব খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলো। বাংলাদেশে ১৯টা ক্যু হয়। বাংলাদেশে প্রতি রাতে কারফিউ। কিন্তু আমাদের অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়লো যে তিনি গণতন্ত্র দিয়েছেন। তো আমি বলতাম, কারফিউ গণতন্ত্র। তার হাতে তৈরি করা হলো বিএনপি। অর্থাৎ ক্ষমতায় থেকে প্রথমে হ্যাঁ-না ভোট। সেই ভোট কেমন হয়েছিল? এখানে অনেক সাংবাদিক আছেন, তখন অনেকের জন্মই হয়নি। বহু বছর আগের কথা। না ভোটের পাত্তাও ছিল না, সব হ্যাঁ।

সরকার প্রধান বলেন, এরপরে আসলো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেখানেও একটা নির্বাচনের খেলা। তারপরে আসলো সংসদ নির্বাচন ৭৯ সালে। সেখানে দল ভাঙাগড়া, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের থেকে একে-ওকে নিয়ে, মানে এ গাছের ছাল, ওই গাছের বাকল সব জোড়া দিয়ে, অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে একটা দল তৈরি করা। সেই দলটাই হয়ে গেছে মূল দল। আবার পরবর্তী সময়ে জাতীয় পার্টি, সেটাও ওভাবেই তৈরি। আরেক মিলিটারি ডিক্টেটর, সেও ক্ষমতায় বসে জাতীয় পার্টি তৈরি করেছে। যে দলগুলো তৃণমূল থেকে উঠে আসেনি, সেই দলগুলোর কাছে আপনারা কী আশা করেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলের (বিএনপির) নেতৃত্বটা কার হাতে? কে নেতা? এতিমের অর্থ আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির দায়ে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আরেকজন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। একজন তো ফিউজিটিভ। আরেকজনকে আমি অবশ্য আমার এক্সিকিউটিভ অথরিটিতেই তার সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগটা দিয়েছি, বয়সের কথা বিবেচনা করে। এখন এই দলটা যে নির্বাচন করবে, আপনার বললেন কোন দল অংশগ্রহণ করেনি, আপনারা কীভাবে বললেন অংশগ্রহণ করেনি? ২০১৮ সালের নির্বাচনে আসেন, বিএনপি একেকটা সিটে কয়জনকে নমিনেশন দিয়েছিল? সেটা কি আপনাদের মনে আছে? এক সিটে একজনকে সকালে দেয়, দুপুরে সেটা পরিবর্তন করে আরেকজন হয়। তারপর দ্বিতীয় দফায় আরেকজনের নাম দেয়। অর্থাৎ যে যত বেশি টাকা দিচ্ছে, তাকে নমিনেশন দিয়ে দিচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এ অবস্থায় একটা দল যখন নির্বাচনে তাদের প্রার্থী দেয়, ঢাকা থেকে তাদের এক নেতা একজনকে দিচ্ছে, তো লন্ডন থেকে আরেক নেতা আরেকজনকে দিচ্ছে। যে তাকে টাকা না দেয়, সে নমিনেশন পাবে না। দিনে যদি তিনবার আপনার নমিনেশন বদলান, তারপর দেখা গেলো মাঝখানে নির্বাচন ছেড়ে চলে গেলো। এটা কি অস্বীকার করতে পারবে বিএনপি? তাহলে এটা পার্টিসিপেটরি ইলেকশন হয় নাই, এ কথা কীভাবে বলেন? আর যখন আপনি নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে মধ্যপথে চলে যান, তখন মাঠ ফাকা। তখন বাকিরা যা খুশি তাই করতে পারে। সেই দোষটা কাকে দেবেন? এটা তো আওয়ামী লীগকে দিতে পারেন না। আর এই বাস্তবতা সবাই ভুলে যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা মিথ্যা আপনি বারবার বলতে পারেন। আর সত্যের শক্তিটা হচ্ছে একবার, সত্যটা একবার। আপনারা আমি জানি না, বিদেশেও তাদের কাছে অপপ্রচার করা হয় যে, নির্বাচন পার্টিসিপেটরি না। একটা দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তখনই, মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করবে তখনই যে তাদের দেখাতে হবে সেই দল নির্বাচন করে জয়ী হলে, কে হবে সরকার প্রধান। এইটা তো মানুষ আগে বিবেচনা করে। করে না? এটা খালি আমাদের দেশে না, পৃথিবীর সব দেশেই। তারা (বিএনপি) যে ইলেকশন করবে, তারা কাকে দেখাবে? সাজাপ্রাপ্ত ফিউজিটিভকে? সে তো এখন এই দেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে দিয়ে বিদেশি নাগরিক হয়ে বসে আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কত টাকা ইনভেস্ট করলে সহজে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাওয়া যায়? একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়েও কীভাবে ব্রিটিশ নাগরিক হলো সেটা খোঁজ করবেন? সেটা খোঁজ করেন না। সেটা তো আপনারা করেন না। সেটা করলেই তো বেরিয়ে আসে। এই নিয়ে তারা কী ইলেকশনটা করবে সেটাই তো বড় কথা। এখানে গণতন্ত্রের দোষটা কোথায়? আরেকটা দলেরও (জাতীয় পার্টি) তাদের (বিএনপি) মতো অবস্থা। তাদের (জাতীয় পার্টি) ঠিক সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। তিনি বলেন, আর আমাদের বাকি ছিল বাম দলগুলো। তারা তো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হতে হতে মানে দাঁড়ি কমা সেমিকোলন, দাঁড়ি বসবে না কমা বসবে, কমা বসবে না সেমিকোলন বসবে—এই করতে করতে ভাঙতে ভাঙতে তাদের অবস্থা, তারা এখন বাম হয়ে কখনও ডানে কাইত হয়, কখনও বামে কাইত হয়, তাদের তো এই অবস্থা। আছে কে? আমাকে সেটা বলেন না। একটা ভালো শক্তিশালী দল করে দেন, মাঠেই দেখা হবে। মাঠে আমরা দেখবো। সেখানে ঠিক আছে জনগণ যাকে চায়। আমার কথা একটাই স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ অনেক থাকে, ওই রকম সুযোগ নিয়ে আমি তো প্রধানমন্ত্রী হইনি কখনও।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভোট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাই না, সেটা থাকবো না। মিলিটারি ডিক্টেটররা যা করেছে, তার বিরুদ্ধে আমিই সংগ্রাম করেছি, আমি আন্দোলন করেছি। জেল-জুলুম, বোমা, গ্রেনেড, গুলির সম্মুখীন আমিই হয়েছি। কিন্তু গণতন্ত্রটা করতে পেরেছি বলেই, এই ধারাবাহিকতাটা আছে বলেই আজকে দেশের এই উন্নতিটা। ওদের (বিএনপি) জন্য তো কান্নাকাটি করে লাভ নাই। ওরা ইলেকশনটা করবে কী নিয়ে? পুঁজিটা কী? সমস্যা তো ওখানেই। বাংলাদেশে বিএনপির একটাও কী যোগ্য নেতা নেই? যাকে তারা দলের চেয়ারম্যান করতে পারে? তাহলে তো তাদের এই দুরবস্থাটা হয় না।

পদ্মা সেতুর যারা বিরোধিতা করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সময়ই বলে দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, একজন ব্যক্তির ষড়যন্ত্রে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে তুলে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। দেশের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ ও নানা দলের নেতারা এর বিরোধিতা করে এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এ ধরনের কৃতকর্মের জন্য তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সময়ই বলে দেবে। এছাড়া পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীদের ক্ষমা চাওয়া উচিত কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তাদের বিবেকের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা কিছু বলবো না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক গড়ে উঠবে । এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলে দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে জায়গা খোঁজা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১২ সালের ৯ জুলাই মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেই। আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ না নেওয়ার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আপনারা দেখেছেন, আমাদের দেশের একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী এবং অর্থনীতিবিদরা কীভাবে মনগড়া সমালোচনায় মেতে উঠেছিল।

সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের গুণগত মানে কোনও আপস করা হয়নি। এই সেতু নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণে। সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত এই সেতুর পাইল বসানো হয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধ বিবেচনায় ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ভূমি অধিগ্রহণের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভূমিহীনসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সহায়তা, ভিটা উন্নয়ন সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য কর্মমুখী ও আয়বর্ধনমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ রক্ষার জন্য পুনর্বাসিত এলাকাকে ‘পদ্মা সেতু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘বহুমুখী এই সেতুর ওপরের ডেক দিয়ে যানবাহন এবং নিচের ডেক দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন। সেতু চালু হওয়ার পর সড়ক ও রেলপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। এর ফলে এ অঞ্চলের মানুষের একদিকে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে, অন্যদিকে অর্থনীতি হবে বেগবান। আশা করা হচ্ছে, এ সেতু জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ১ দশমিক দুই-তিন শতাংশ হারে অবদান রাখবে এবং প্রতি বছর দশমিক আট-চার শতাংশ হারে দারিদ্র্য নিরসন হবে।’

দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সহযোগিতার জন্যই আজ পদ্মা সেতু মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। চলমান করোনাভাইরাস মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত গোটা বিশ্বকেই একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখী করেছে বলে জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়েছে। খাদ্য শস্যের উৎপাদন এবং পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবহন ভাড়া। ফলে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, অর্থনীতির চাকা সচল রেখে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় রাখতে। এই সময়ে আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। অপচয় বন্ধ করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আমাদের সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ বছরই মেট্রোরেল এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল উদ্বোধন করা হবে। ঢাকায় এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের গৃহীত মেগাপ্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজও যথারীতি এগিয়ে যাচ্ছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর