শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন

বিএনপির আন্দোলনে হেরেছে, নির্বাচনেও হারবে: কাদের

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ৩৩ বার
আপডেট : সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে হেরেছে মানে নির্বাচনেও হারবে। বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়ে গেছে। এরপর সেমি ফাইনাল খেলা হবে। নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা। সব খেলাই বিএনপি হারবে।

সোমবার বেলা ১১টার চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন এমপি, পারভিন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি। এছাড়া বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাফজুর রহমান মনজু প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকার পতনের দিবা স্বপ্ন দেখছে। ১০ ডিসেম্বর গেল। শুধু আতঙ্ক সৃষ্টি ছাড়া বিএনপি কিছুই করতে পারেনি। ১০ দফা দাবি দিয়েছে, তার মধ্যে নতুন কোন দাবি নেই।  রিজার্ভ নিয়ে তিনি বলেন, দেশ থেকে অর্থ লুটপাট করে বিদেশ পাঠিয়েছে পলাতক তারেক রহমান। তারা আবার রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। দেশে ৫ মাসের রিজার্ভ মজুদ আছে। তিন মাসের রিজার্ভ জমা থাকলেই দেশ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে থাকে। সেখানে ৫ মাসের রিজার্ভ মানে দেশে কোন সংকট নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যায় না। মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না। বিএনপির কাজই হচ্ছে- লুটপাট ও সন্ত্রাস করা। তারা দেশে কী করেছে তা আপনারা দেখেছেন। জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিএনপি না থাকলে কী সংসদ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে ? কথা বলার লোক থাকবে না ? কত বড় ভুল করেছে বিএনপি।

এই সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। পদপ্রত্যাশী, নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো জেলা শহর। এই সম্মেলনে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করে রাজাকারমুক্ত জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গড়ার আহ্বান তৃণমূল নেতাকর্মীদের। ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর