রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

বাণিজ্যমেলা বন্ধ করা ও বইমেলা পেছানো উচিত: পরামর্শক কমিটির সভাপতি

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৮০ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২

বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমূখী পরিস্থিতিতে চলমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা বন্ধ করা এবং বইমেলার সময় আরও পিছিয়ে দেওয়া উচিত বলে মতামত দিয়েছেন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা। মঙ্গলবার রাতে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রমণশীল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে রোগী বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা, বাড়ছে শনাক্তের হারও। ওমিক্রন তাণ্ডবের মধ্যে দেশে যে হারে রোগী শনাক্ত হচ্ছে, এভাবে এত দ্রুত শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা আগে দেখা যায়নি। এই অবস্থায় সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

কমিটি সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিধিনিষেধ কঠোর করতে সরকারকে কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করাও জরুরি। শুধু নির্দেশনা দিলেই হবে না, বাস্তব প্রয়োগও দরকার। অর্থাৎ গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী, সবাই মাস্ক পরবে, অফিস-আদালত অর্ধেক জনবল দিয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। এগুলো ভালোভাবে হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্য মেলা চলছে, যা খোলা রাখা উচিত না। এখন এগুলোর যদি বাস্তব প্রয়োগ না হয়, তাহলে ভালো ফলাফল আসবে না। এ জন্য আমরা বলেছি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

রোগী শনাক্তের ঊর্ধ্বগতিতে লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কিনা প্রশ্নে অধ্যাপক সহিদুল্লা বলেন, লকডাউন এই মুহূর্তে খুব লাভ হবে না। লকডাউন দেওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা জরুরি। দেশে ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে। যখন দেখবো হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছি না, তখন লকডাউন দেবো। লকডাউনে কিছু সুবিধা হবে, কিন্তু জীবিকার ওপর যে প্রভাব পড়বে, তাও কম না। এই বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।

ডা. সহিদুল্লা বলেন, আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে বাণিজ্যমেলা এখন অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। এখন করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এটা একটা সময়ে কমে যাবে। তখন আমরা বইমেলা করতে পারি। এখন কিছু দিনের জন্য পিছিয়ে দেওয়া উচিত। দেশবাসীকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ যদি জীবন-জীবিকাসহ অন্যান্য বিষয় ঠিক রাখতে চায় তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে তাদেরও অংশগ্রহণ করা উচিত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর