রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে জলবায়ু সম্মেলনে: পরিবেশমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৯৮ বার
আপডেট : বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো শহরে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে প্রত্যাশা অনুযায়ী যথাযথ প্রাপ্তি না হলেও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অনেক দাবি পূরণ হয়েছে।

আজ বুধবার বিকালে পরিবেশ অধিদফতরে আয়োজিত ‘বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ ২৬) : প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত, সিভিএফ প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী এবং পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিনসহ অন্যরা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক এবং মির্জা শওকত আলী।

মন্ত্রী জানালেন, এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো ‘গ্লোবাল গোল অন অ্যাডাপটেশন’ সংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য ‘গ্লাসগো-শার্ম আল শেখ ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন দি গ্লোবাল গোল অন অ্যাডাপটেশন’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা আমাদের ভবিষ্যৎ অভিযোজন কার্যক্রমকে নিঃসন্দেহে আরও বেগবান করবে।

মন্ত্রী জানান, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্যে গ্রিনহাউজ নিঃসরণ কমাতে সদস্য দেশগুলোকে উচ্চাভিলাষী ও শক্তিশালী পরিকল্পনা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্যারিস চুক্তির রুলবুক সম্পন্ন হয়েছে এবং ওই চুক্তির আওতায় ‘আর্টিকেল ৬ (মার্কেট অ্যান্ড নন-মার্কেট মেকানিজম)’-এর মোডালিটিজ, প্রসিডিউরস অ্যান্ড গাইডলাইন্স গৃহীত হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলোর অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করার পাশাপাশি কপ ২৬-এর বিভিন্ন ডিসিশন টেক্সট এই অভিযোজন ও প্রশমন অর্থায়নের মধ্যে সমতা আনার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও ২০২২-২০২৪ সালের জন্য একটি অ্যাডহক ওয়ার্ক প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ধনী দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিলে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ দ্বিগুণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশ ‘গ্লাসগো লিডার্স ডিক্লারেশন অন ফরেস্টস অ্যান্ড ল্যান্ড ইউজ’ অনুমোদন করেছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও স্থানান্তর বিষয়ক বিভিন্ন বৈঠকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির আলোকে আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এখনই ঠিক করতে হবে। সম্ভাব্য সব ঝুঁকি চিহ্নিত করে কাজ শুরু করতে হবে। কেবল বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ওপর নির্ভর না করে আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়েই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর অভিযোজন এবং প্রশমনমূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর