রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ৩৭ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। তিনি বলেন, আমরা এগিয়ে যাবো। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সেবার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিপুল পরিমাণ উন্নত, আধুনিক, প্রযুক্তি সুবিধা সম্বলিত বিশ্বমানের অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছি। সর্বশেষ আমরা বিশ্বের সর্বাধিক উচ্চতার ৬৮ মিটারের লেডার সম্বলিত টিটিএল গাড়ি ফায়ার সার্ভিসের বহরে যোগ করেছি। ৬৮ মিটারের ৫টি গাড়ি ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থবছরেই ১১টি টার্নটেবল লেডার (টিটিএল) ক্রয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২টি রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং ভেহিক্যাল দেওয়া হয়েছে। নদী পথে সক্ষমতা বাড়াতে ২৪টি রেসকিউ বোট ও ১০টি ফায়ার ফ্লোট কেনা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, লিঙ্গ সমতা দূর করতে ‘ফায়ারম্যান’ পদের নাম ‘ফায়ার ফাইটার’ করা হয়েছে। পরিদর্শকের সংখ্যা ৫০ থেকে ২৬৮, ডুবুরির সংখ্যা ২৫ থেকে ৮৫, অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা ৫০ থেকে ১৯২, আগুন নেভানোর পানিবাহী গাড়ি ২২৭ থেকে ৬১৭ এবং ফায়ার পাম্প ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৫৪৬টিতে উন্নীত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগে ফায়ার সার্ভিসের কেমিক্যাল টেন্ডার, ব্রিদিং টেন্ডার, ফোম টেন্ডার, হ্যাজমেট টেন্ডারের মতো বিশেষ ধরনের কোনো গাড়ি ছিল না। আমরা এ ধরনের ৩৫টি বিশেষায়িত গাড়ি দিয়েছি। যুগের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একসময়ের অবহেলিত এই প্রতিষ্ঠানটি আমরা একটি সম্মানজনক স্থানে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (ফায়ার ফাইটার) নিজেদের জীবনবাজি রেখে মানুষের কল্যাণ করে মানুষকে উদ্ধার করে। একটি মহৎ কাজে তারা নিয়োজিত রয়েছেন। কাজেই ফায়ার সার্ভিসের প্রতিটি সদস্যই দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে মানুষের কাছে প্রতীয়মান। তাই ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমরা বিদেশি সহায়তাও কাজে লাগিয়েছি। তিনি  বলেন, এই মন্দা মোকাবিলার জন্য আমাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে অনেক জমি দিয়েছি। যার যেখানে কর্মস্থল এবং যার যেখানে খালি জমি আছে, সেখানে আপনারা বৃক্ষ রোপণ করবেন। নিজেদের চাহিদা নিজেরা পূরণ করার চেষ্টা করবেন, যাতে বিশ্বের এই মন্দাটা আমাদের দেশে না পড়ে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো আমাদের উন্নয়নের যে গতি, তা কিছুটা হলেও শ্লথ হয়ে গেছে। এর মূল কারণ হলো একদিকে করোনাভাইরাসের অভিঘাত, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর