বরিশাল মেডিকেলে এখনও ঝুলছে ‘পাকিস্তানের’ সাইনবোর্ড
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর পরেও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহের কয়েকটি বোর্ডে ‘পূর্ব পাকিস্তান সরকার’ লেখা রয়েছে; যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। বিদ্যুৎ সরবরাহ করার যে বাসবার ট্রাকিং সিস্টেম বোর্ড রয়েছে তাকে ‘বিপদজনক’ বুঝাতে এবং মানুষকে সতর্ক করতে একটি নির্দেশনা রয়েছে, সেখানেই ইংরেজিতে ‘গভ. অব ইস্ট পাকিস্তান’ লেখাটি রয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের পাঁচতলা ভবনের চারটি সিঁড়ি রয়েছে। প্রত্যেকটি সিড়ির পাঁচতলা পর্যন্ত মোট ২১টি বাসবার ট্রাকিং সিস্টেম বোর্ড রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি বোর্ডে ‘গভ. অব ইস্ট পাকিস্তান’ লেখা রয়েছে। বাকি চারটি প্যানেল বোর্ডে কোনো সাইনবোর্ড বা সতর্কীকরণ নির্দেশনা নেই। ছয়টি বোর্ডে সাদা রং দিয়ে মুছে ফেলা হয়েছে।
একটি সাদা বোর্ডে লাল রং দিয়ে লেখা সাইনবোর্ডের নিচে স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবস’ এবং ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের পোস্টার লাগানো হলেও বিষয়টি কারও নজরে আসেনি। যদিও পোস্টার দুটির উপরেই ‘গভ. অব ইস্ট পাকিস্তান’ লেখা সতর্কীকরণ বোর্ডটি রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৪ সালের ৬ নভেম্বর থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে এতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। প্রথমে এর নাম ছিল বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে বরিশালের সন্তান শের-ই-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের নামে তা নামকরণ করা হয়।