রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

বন বিভাগের অযৌক্তিক মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১৪৮ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১

বন বিভাগের অযৌক্তিক মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই মামলাগুলো রিভিউ করে যেগুলোর যৌক্তিকতা নেই, সেগুলো যথাসম্ভব আমরা তুলে নেবো। মানুষকে কমফোর্ট দিতে হবে। আর ব্যাপক প্রচার করতে হবে, যাতে মানুষ এরমধ্যে ইনভলব না হয়।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘আটিয়া বন (সংরক্ষণ) আইন ২০২১’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিতে গিয়ে এ বিষয়ে আলোচনাকালে এই নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে মধুপুর বন, শেরপুরের লালপাহাড়, যেখানে যেখানে ফরেস্ট আছে, সুন্দরবনের ওই দিকে, সেখানে অনেক মামলার অনুমোদন আছে। অনেক জায়গায় একজনের বিরুদ্ধে ৫০টা মামলা আছে। আমাদের মন্ত্রীদের অনেকেই আজকের মিটিংয়ে বলেছেন, আপনারা প্রয়োজন হলে পাঁচ বছরের জেল দিয়ে দেন। কিন্তু মামলা থেকে অন্তত মুক্তি দেন। ৩০টা, ৫০টা, ৪০টা বা ১০টা মামলায়ও যদি হাজিরা দিতে হয়, জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। সচিব বলেন, এটা (আটিয়া বন) নাটোরের মহারাজাদের ছিল খুব সম্ভব, অথবা রানি ভবানী এদের বংশের ছিল। কিন্তু (ব্রিটিশ) সরকার ১৯২৮ সালে বলেছে, এটা পরিবেশের জন্য প্রয়োজন। ইট ইজ এ রিজার্ভ ফরেস্ট। কেউ ঢুকলে তার জেল হবে, গাছ কাটলে নন-বেলঅ্যাবল (জামিন অযোগ্য) জেল হবে। পরে ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান সরকার এটা সংস্কার করে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এরপর ১৯৮২ সালে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয় ‘আটিয়া ফরেস্ট প্রটেকশন অর্ডিন্যান্স’। সেখানেও বনের কেউ ক্ষতি করলে বা ধ্বংসাত্মক কাজ করলে জামিন অযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে যাবে। সেটা যেহেতু অর্ডিন্যান্স ছিল, এটা আজকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। পাঁচটা ধারা, এগুলো রিটেক করে যাওয়া হয়েছে, অর্ডিন্যান্সে যা আছে সেই অনুযায়ী। তিনি বলেন, এ আইনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত একটা ডিজিটাল সার্ভে করার নির্দেশ দিয়েছেন। একটা ডিজিটাল সার্ভে করতে হবে ইমিডিয়েটলি। এটা আটিয়া থেকেই শুরু হোক। যেখানে যেখানে আমাদের এরকম ফরেস্ট আছে, কতটুকু এখনও ইনটেক ফরেস্ট আছে এবং কতটুকু জায়গার মধ্যে বিভিন্ন মানুষ বসবাস করে।

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ওইসব এলাকায় অনেক লোক বসবাস করে। তাদের স্ট্যাটাস কী এবং তাদের তো এখন তোলাও যাবে না ইমিডিয়েটলি। কোথায় যাবে তারা?’ সুতরাং, তাদেরও কীভাবে একটা সল্যুশন করা যায়। তাদের ওই খানে সেটেলমেন্ট দেওয়া যায় কিনা, অথবা অন্য জায়গায় খাস জমি থাকলে শিফট করানো যায় কিনা, তাদের আবাসনের একটা নিশ্চয়তা কীভাবে করা যায়—এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন বলে জানান কেবিনেট সচিব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর