স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বন্যা মোকাবিলায় সারা দেশে ১৪০টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ওসব মেডিক্যাল টিম প্রতিটি জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়নে গিয়ে সেবা দেবে। এ জন্য ঢাকায় সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়নের কার্যক্রম মনিটরিং করবে সমন্বয়ক কমিটি। তিনি বলেন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বন্যার পানি ঢুকেছে। সেখানে বিদ্যুৎ নেই। জেনারেটরের মাধ্যমে আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রেখেছি। বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি খোঁজ-খবর রাখছেন।

শনিবার (১৮ জুন) বিকাল ৪টার দিকে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ হলরুম মিলনায়তনে মানিকগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জেলা মহিলা লীগের সভাপতি নিনা রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফিয়া খাতুন, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাইমুর রহমান দুর্জয় ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মী চ্যাটার্জি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এ জন্য আমাদের সতর্ক হতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। টিকা না নিলে অবশ্যই নিতে হবে। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের বুস্টার ডোজ নিতে হবে। যতটুকু পারেন, সবাই সাবধানে থাকবেন। বিশেষ করে সিলেট জেলা-উপজেলাগুলোতে একটি করে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের মধ্যে ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জন, নার্স ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আছেন। টিমের সবাই কাজ শুরু করেছেন। স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ অন্যান্য যেসব ওষুধ প্রয়োজন সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা ও স্পিডবোটসহ যেকোনও বাহনের মাধ্যমে মানুষকে সেবা দিচ্ছে মেডিক্যাল টিম।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক জেলা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবু আমরা চেষ্টা করছি, যাতে মানুষ চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত না হয়।