রবিবার, ০২ জুন ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন

সমঝোতার কোনো পথ আছে কি না জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ৬ বার
আপডেট : রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নির্বাচনি সরকার ইস্যুতে সমঝোতার কোনো পথ আছে কি না জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে তিনি বলেছেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে সমঝোতার সুযোগ নেই, সরকার পতনের দাবি নিয়ে কোনো সমঝোতা হবে না, ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন করতে প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকারবদ্ধ। সব দলের মধ্যে ঐকমত্য হলে সহিংসতামুক্ত নির্বাচন হবে, এর জন্য সবার আন্তরিকতা লাগবে।
রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন দুই কংগ্রেসম্যান এড কেস এবং রিচার্ড ম্যাককরম্যাক চীনের বিষয়টি জানতে চান। বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই কংগ্রেসম্যান শনিবার (১২ আগস্ট) ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন এবং সোমবার তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে বাংলাদেশ চীনের খপ্পরে পড়েছে। চীন নিয়ে বলেছে যে তোমরা চীনের ভেতরে চলে যাচ্ছো। আমরা বলেছি না। আমরা চীনের ভেতরে যাচ্ছি না। আমাদের ঋণের এক শতাংশের মতো চীন থেকে নেয়া। এটি কোনও বড় বিষয় নয়। তিনি বলেন, তাদের কাছে (কংগ্রেসম্যান) বিভিন্ন লোকজন বলছে বাংলাদেশ একটি ভয়ংকর জায়গা। এরা চীনের খপ্পরে পড়ে গেছে। চীনের গোলাম হয়ে গেছে। এটি একটি ভয়ংকর জায়গা, যেখানে অশান্তি এবং পুলিশ যখন-তখন লোক ধরে ফেলছে ও মেরে ফেলছে।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে কংগ্রেসম্যানরা কিছু বলেছেন কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র কোনও ধরনের ‘ফর্মুলা’ দিচ্ছে না এবং তারা ‘সমঝোতার পথ আছে কিনা’ জানতে চেয়েছে। তিনি বলেন, তারা বলেছে তোমাদের সমঝোতার পথ আছে কিনা। আমরা বলেছি, তাদের যে দাবি– সরকারের পতন হবে, তারপরে নির্বাচন করবে, সেটির সঙ্গে আমাদের সমঝোতার কোনও সুযোগ নেই। তিনি প্রতিনিধিদের বলেন, তোমাদের দেশে কি নির্বাচনের সময়ে সরকারের পতন হবে? নিশ্চয়ই না। এ ধরনের দাবি করলে কি তোমরা আলোচনা করবে? নিশ্চয়ই না। আমরা আমাদের শাসনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন করবো এবং সেটিতে সবাই অংশগ্রহণ করুক এটি আমরা চাই। কে জিতবে না জিতবে সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে। সংলাপের বিষয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ঐকমত্য করার মতো কোনও দাবি-দাওয়া কারও কাছে নেই। আমরা চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আমাদের বিরোধী দল নির্বাচনের কোনও খবরই রাখে না। তারা চায় সরকার পতন। এটা সংলাপের জন্য কোনও বিষয়বস্তু হতে পারে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলের ও মতের আন্তরিকতা দরকার এবং এ বিষয়ে তারা একমত। সব দল যদি নির্বাচনে যোগদান করে এবং তারা যদি আন্তরিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে তারাও অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায়, তবেই সহিংসতামুক্ত হবে। সরকার বা নির্বাচন কমিশন চাইলে সহিংসতামুক্ত হবে, বিষয়টি সেরকম নয়। এটির নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, ‘সহিংসতামুক্ত করতে হলে সবার আন্তরিকতা দরকার। আমরা বলেছি আমাদের দেশে অংশগ্রহণ তোমাদের দেশের থেকে কয়েকগুণ বেশি। তোমাদের ওখানে লোক ভোট দেয় না, কিন্তু আমাদের এখানে অধিকাংশ লোক ভোট দেয়।’
নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ– মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও অধিকতর যোগাযোগ। তাতে উভয় দেশের সঙ্গে জানাশোনা হয় এবং মিথ্যা প্রচারণা সেগুলো কমে। রোহিঙ্গা নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী নয় বলেও তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর