রবিবার, ০২ জুন ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ন

ফেইসবুক ও ইউটিউব থেকে ৬ ‘ভুয়া’ ভিডিও সরাতে হাই কোর্টের নির্দেশ

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১৬১ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২

উসকানি দেয় কিংবা জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি করে- এমন ছয়টি ভুয়া ভিডিও ফেইসবুক ও ইউটিউব থেকে সরাতে বলেছে হাই কোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওইসব ভিডিও সরানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছে আদালত।

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ‘সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে তৈরি করা ভুয়া ও উসকানিমূলক’ ভিডিওগুলো সরিয়ে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে এবং রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়- এমন ভুয়া ভিডিও এবং সংবাদ যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ না হয়, এবং সেগুলো প্রকাশের আগে আইন অনুযায়ী যাচাই করার জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় আসতে ফেইসবুক ও ইউটিউবকে একটি নীতিমালা করতে বলেছে আদালত। ফেইসবুক-ইউটিউবকে ওই নীতিমালা তৈরি করে এ বিষয়ে বিটিআরসি এবং জিডিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে হাই কোর্টের নির্দেশে।

রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এমন উসকানিমূলক ভিডিও সরাতে কর্তৃপক্ষের ‘নিস্ক্রিয়তা’ কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। ফেইসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ছাড়াও মেটা বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি বিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করা হয়েছে এই রিট মামলায়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিলুফার আনজুম এবং জজ কোর্টের আইনজীবী আশরাফুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী আরাফাত হোসেন খান গত বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে মঙ্গলবার শুনানি করেন আইনজীবী আরাফাত হোসেন খান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান মুন্সী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে গত ২১ অগাস্ট এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী আরাফাত হোসেন খান। সেখানে বলা হয়, “সম্প্রতি দেখা গেছে ফেইসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটছে। বাংলাদেশে প্রচুর ভুয়া সংবাদ, কনটেন্ট, ছবি ও ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীর সম্মানহানি হচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতির অনেক স্পর্শকাতর তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রচারের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বাংলাদেশেরও।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর