রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন

প্রবাসী আয় দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ২৭১ বার
আপডেট : বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

টানা ছয় মাস ধরে মহামারি করোনার মধ্যেও উল্লম্ফন থাকা প্রবাসী আয় কমছে। নভেম্বরে প্রবাসীরা যে পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন তা গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য বলছে, সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ (১.৫৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রবাসী আয়ের এ অঙ্ক গত বছরের নভেম্বরের চেয়ে ২৫ শতাংশ বা ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা কম। গত বছরের নভেম্বরের রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। শুধু তাই নয়, নভেম্বরের রেমিট্যান্সের এ পরিমাণ গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসের দেশে সর্বনিম্ন ১৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে।

অর্থনীতিবিদরা  বলছেন,  মহামারির বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর অবৈধ চ্যানেলগুলোতে ( হুন্ডি) ফের অর্থ লেনদেন বেড়েছে। এছাড়া মহামারিতে যে হারে প্রবাসীরা চাকরি হারিয়েছে সেভাবে বিদেশে নতুন শ্রম শক্তি  নিয়োগ হয়নি। এসব কারণে প্রবাসীদের পাঠানো আয় কমছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স আসে ৮৬০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭৩ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা)। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২৮ কোটি ৫২ লাখ বা প্রায় ২১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৮৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার অংক ছিল ৯২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন ছিল। ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি ছিল। গত অর্থবছরের ১২ মাসের মধ্যে সাত মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।

গত ছয় মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স কমছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশে ১৬৪ কোটি ৬৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার, আগস্টে রেমিট্যান্স আসে ১৮১ কোটি ডলার। যা তার আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে ৬ কোটি ১৪ লাখ ডলার কম। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার। যা তার আগের মাস জুনের  চেয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম। জুনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯৪ কোটি ডলার।

নভেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুটি  ব্যাংকের মধ্যে একটিতে এসেছে ৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২০ কোটি ৬৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। নভেম্বরে ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৩৮ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৯৮ ডলার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর