রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন

অনিয়ম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে; প্রকল্পের গাড়ি জমা না দিয়ে যথেচ্ছ ব্যবহার

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৫৫ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২

এমন অনিয়ম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে, যেখানে একটি প্রকল্পের জন্য কেনা হয় প্রায় দেড় কোটি টাকার তিনটি গাড়ি।

<div class="paragraphs"><p>ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম</p></div>

প্রকল্পের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকার এই গাড়ি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ব্যবহার করছেন।

দেশে বিদ্যুত ও জালানী সাশ্রয়ে ঘোষণা দিয়ে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও আমলারা আছেন পুরোনা স্টাইলে। তারা আগের মতোই প্রকল্পের ৩ থেকে ৪ হাজার সিসির অধিক জালানী ব্যবহারযোগ্য গাড়ী যথেচ্ছ ব্যবহার করে চলেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে মনিটরিংয়ের কথা বলা হলেও দায়িত্বশীল কর্মকতারাই নিয়ম ভাঙ্গছেন। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে কেনা গাড়ি পরিবহন পুলে জমা দেওয়ার নিয়ম; অথচ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের জন্য কেনা দেড় কোটি টাকার তিনটি গাড়ি জমা হয়নি।

নিয়ম না মেনে এসব গাড়ি ব্যবহার করছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর এপিএস। ওই গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের তথ্য মিলেছে; যদিও তার কোনো সুযোগ নেই। কৃচ্ছ্র সাধনের জন্য যখন সরকার তৎপর, তখন এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ‘পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রকল্প’র জন্য এই তিনটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার প্রাডো টিএক্স গাড়ি কেনা হয়। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়, শেষ হয়েছে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। ৪৫৩ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফ।

সরকারের আমলাদের গাড়ি বরাদ্দের বিষয়টি দেখভাল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যানবাহন সেবা শাখা। সার্বক্ষণিক গাড়ি প্রাধিকার পাওয়া সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা গাড়ির জন্য প্রতি মাসে ২৫০ লিটার পেট্রল বা অকটেন পান।

উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদমযার্দার কর্মকর্তারা গাড়ি কেনার জন্য ৩০ লাখ টাকা সুদমুক্ত সুবিধা পান। এছাড়া এসব গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে পান। এ কারণে পিএলআরে থাকার সময় কর্মকর্তারা পরিবহন পুল থেকে গাড়ি পান না।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রকল্পের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে গাড়ি তিনটি কেনা হয়। ২০২০ সালে গাড়িগুলো জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভাণ্ডার শাখার নির্বাহী প্রকৌশলীর নামে নিবন্ধন করা হয়। তিনটি গাড়ির নম্বর যথাক্রমে ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৫৮৪৫, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৫৮৪৬ এবং ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৫৮৪৭। ২০১৯ সালে তৈরি গাড়িগুলো তিন হাজার সিসির, প্রতিটির দাম ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৫৮৪৬ নম্বর গাড়িটি কেনার পর থেকে সেটি ব্যবহার করতেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। গত মে মাসে অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে যাওয়ার পরও অগাস্টের শুরু পর্যন্ত গাড়িটি তার কাছে ছিল।

হেলালুদ্দীন যখন ব্যবহার করতেন, তখন গাড়িটি চালাতেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবুল হাসেম। গত ১ অগাস্ট আবুল হাসেমের সঙ্গে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের যখন মোবাইল ফোনে কথা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, গাড়িটি সচিব হেলালুদ্দীনের পরিবারের সদস্যরা ব্যবহার করেন। আমি এখন হেলাল স্যারের এইখানে আছি। এই গাড়িটা স্যারের ফ্যামিলির সবাই ব্যবহার করেন। আমি পাবলিক হেলথের রেভিনিউ খাতের ড্রাইভার। অফিসাররা যেভাবে বলেন, আমরা সেইভাবে কাজ করি। এর পরদিনই গাড়িটি হেলালুদ্দীনের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হয়। হাসেমকেও ওই গাড়ি চালানোর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনি এখন কোনো গাড়ি চালান না।

প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, বিভিন্ন সময় ব্যবহারের জন্য তাকে গাড়িটি দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি তা ফেরত দিয়েছেন।

হেলালুদ্দীন ২০১৯ সালের ৩০ মে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হিসেবে যোগ দেন। ২০২২ সালের ২২ মে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যান তিনি। অর্থাৎ, অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যাওয়ার দুই মাস পরও গাড়িটি তার কাছেই রেখেছিলেন। হেলালুদ্দীন বলেন, একটা গাড়ি তো পুল থেকে পেয়েছি। ওর সাথে ফ্যামিলির জন্য একটা গাড়ি দেয়। বর্তমান সচিবও ব্যবহার করছেন। সব সচিবরাই অ্যাডিশনাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য গাড়িটা নেয় আরকি। প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় থেকেই ফ্যামিলির জন্য বা বাইরের ট্যুরের জন্য নেয়। একটা গাড়ি যখন সচিব ব্যবহার করেন, তখন দূরের যাত্রায় যাওয়ার জন্য, বা ড্রাইভারের ছুটি বা অন্যান্য বিষয়গুলো ব্যাকআপ দেওয়ার জন্য একটা গাড়ি ব্যবহার করে আরকি। যখন প্রয়োজন হয় তখন ব্যবহার করেন, যখন প্রয়োজন হয় না তখন ব্যবহার করেন না। ফুলটাইম ব্যবহার করা হয় না।

নিজের বরাদ্দ পাওয়া গাড়ির বাইরে এভাবে অতিরিক্ত গাড়ি ব্যবহার ঠিক কি না- এ প্রশ্নে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সচিব যদি ওই গাড়ি প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করেন, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু তা না হলে ওই গাড়ি ব্যবহার করা উচিৎ না।

<div class="paragraphs"><p>প্রকল্পের জন্য কেনা গাড়িটি যাওয়ার কথা পরিবহন পুলে, কিন্তু যায়নি</p></div>

প্রকল্পের জন্য কেনা গাড়িটি যাওয়ার কথা পরিবহন পুলে, কিন্তু যায়নি |

হেলালুদ্দীনের মতোই এখন ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৫৮৪৬ নম্বর গাড়িটি ব্যবহার করছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের বর্তমান সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। অথচ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৪৫৩০ নম্বর গাড়িটি বরাদ্দ রয়েছে। সেটিও ল্যান্ডক্রুজার প্রাডো টিএক্স।

প্রকল্পের টাকায় কেনা ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৫৮৪৬ নম্বর গাড়িটি এখন সচিবের জন্য চালাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরেরই বাবলু নামে এক চালক। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভাণ্ডার শাখায় গিয়ে দেখা যায়, গাড়িটি নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন তিনি।জানতে চাইলে বাবলু বলেন, এটা সচিব স্যারের পরিবারের লোকজন ব্যবহার করেন। স্যারের বাসায় যাচ্ছি।

মেজবাহ উদ্দিন স্থানীয় সরকার সচিব হিসেবে যোগ দিয়েছেন গত ২২ মে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি গাড়ি দেওয়ার পরও প্রকল্পের আরেকটি গাড়ি কেন ব্যবহার করছেন- জানতে চাইলে উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন, আপনি অফিসে আসেন, আমি আপনার সঙ্গে কথা বলব।

প্রকল্পের জন্য কেনা ঢাকা মেট্রো ঘ ১৮-৫৮৪৫ নম্বরের গাড়িটি ব্যবহার করছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. জাহিদ হোসেন চৌধুরী। এটি চালান টিপু নামে এক চালক। টিপু বলেন, গাড়িটা মন্ত্রণালয়ে স্ট্যান্ডবাই থাকে। যখন আমার অফিস থেকে দেয়, তখন আমি যাই … অফিস থেকে যেখানে পাঠায় ওইখানে যাই। মন্ত্রণালয়ে থাকে, এপিএস স্যার আছেন… যেখানে পাঠান সেখানে যাই। এ বিষয়ে কথা বলতে মন্ত্রীর এপিএস জাহিদ হোসেনের মোবাইল নম্বরে কল দিলেও তিনি ধরেননি। এসএমএস করেও তার সাড়া মেলেনি।

ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৫৮৪৭ নম্বর গাড়িটি ব্যবহার করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান। প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে তার জন্য আরেকটি গাড়ি বরাদ্দ আছে। তবে সেটি তিনি ব্যবহার করেন না। প্রকল্পের প্রাডো গাড়িতেই তিনি চড়েন। প্রকল্পের গাড়ি কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে- এ প্রশ্নে জনস্বাস্থ্যের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর বলেন, দুটি নয়, তিনি একটি গাড়িই ব্যবহার করেন। অন্য গাড়িগুলো ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, সচিব স্যাররা মাঝেমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প ভিজিটে যান, তখন তাদের গাড়ি দিতে হয়। মন্ত্রী মহোদয় এই গাড়ি ব্যবহার করেন না। তবে স্যারের (মন্ত্রীর) সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সময় গাড়ি কাজে লাগে। সেজন্য একটা গাড়ি মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে।

শেষ হয়ে যাওয়া উন্নয়ন প্রকল্পের গাড়ি কেন্দ্রীয় পরিবহন পুলে জমা দেওয়ার বিষয়ে ২০০৬ সালে একটি পরিপত্র জারি করে তৎকালীন সংস্থাপন (বর্তমানে জনপ্রশাসন) মন্ত্রণালয়। ওই পরিপত্রে বলা হয়, উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকল্প শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সব যানবাহন পরিবহন পুলে জমা দেবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না হলে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে। সেই পরিপত্র মেনে চলতে গত বছরের ৫ জানুয়ারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তাগিদ দিয়ে একটি চিঠি পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেখানেও ২০০৬ সালে জারি করা পরিপত্র অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

<div class="paragraphs"><p>প্রকল্পের জন্য কেনা গাড়িটি ব্যবহার করছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান</p></div>

প্রকল্পের জন্য কেনা গাড়িটি ব্যবহার করছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান |

সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহন কমিশনার মো. আবদুস সাত্তার বলেন, যে কোনো প্রকল্প শেষে প্রকল্পের ব্যবহৃত গাড়ি পরিবহন পুলে জমা দিতে হয়। তবে জনস্বাস্থ্যের ওই প্রকল্পের তিনটি গাড়ির কোনোটিই পরিবহন পুলে আসেনি বলে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

জমা না দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তি দেখিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর বলেন, গাড়িগুলো কেনা হয়েছে ইউনিসেফের টাকা। ইউনিসেফের গাড়ি পুলে জমা দিতে হয় না। এছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ আবার বাড়ানো হচ্ছে। এই প্রকল্পের আরেকটি পর্যায় শুরু হবে, তখন এসব গাড়ি সেখানে যাবে। এ কারণে তা পুলে জমা দেওয়া হচ্ছে না। তবে খোঁজ নিয়ে আর প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

এ প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন এহতেশামুল রাসেল খান। গত ডিসেম্বর মাসে প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তিনি ফিজিবিলিটি স্টাডি অ্যান্ড ডিজাইন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্ব নিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চতুর্থ তলায় ওই প্রকল্পের কার্যালয় ছিল। সেখানে কর্মরতদেরও অন্য শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এহতেশামুল বলেন, ওই প্রকল্পের কাজ গত ডিসেম্বরই শেষ হয়ে গেছে। আমি এখন ফিজিবিলিটি স্টাডি অ্যান্ড ডিজাইনে আছি।

এভাবে প্রকল্পের গাড়ির ভিন্ন ব্যবহার প্রশাসনে ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিহীনতার নজির’ হিসেবে দেখছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রকল্পের গাড়ি কেনা হয় প্রকল্পের কাজে। যারা প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত, তাদের ব্যবহারের জন্য। যারা এটা অন্য কাজে ব্যবহার করছেন, তারা ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করছেন। এটা ‘অনৈতিক’। আমি মনে করি, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিৎ।

জনপ্রশাসনে এটাই ‘একমাত্র নজির নয়’ দাবি করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাংশ নানা প্রকল্পকে সুবিধা নেওয়ার একটা উপায় হিসেবে ব্যবহার করে। যেহেতু কোনো জবাবদিহি নাই, সে কারণে তারা এটা অবারিতভাবে করে যাচ্ছে।

জনস্বাস্থ্যের প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহারে এমন অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন,  এ বিষয়টি নিয়ে আমি অবহিত নই। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে আমি ব্যবস্থা নেব। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর