বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিককের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে সরকারের পরবর্তী কৌশল কী হবে এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দুটি কৌশলই আমরা অবলম্বন করব। একটা হল বিধিনিষেধ বা লকডাউন দেওয়া। আরেকটি হচ্ছে ছেড়ে দেওয়া, কিন্তু সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।”
পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রও খুলছে, চলবে সব গণপরিবহন
পরিস্থিতি খারাপ হলে আবারও লকডাউন দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “হ্যাঁ, পৃথিবীর যেকোনো দেশে বাড়লেই, যেমন অস্ট্রেলিয়াতে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে, কারফিউ দেওয়া হয়েছে, সেখানে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। আমেরিকাতে দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে কেন? কারণ এর কোনো বিকল্প নেই।”
“আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে যাছিলাম। এক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিভিন্নভাবে তাদের অপরিহার্যতা…এটা খোলা প্রয়োজন, কারণ হচ্ছে ব্যবসা করে, কাজ করে, তাদের দিকে তাকিয়ে কিন্তু এ বিষয়গুলো শিথিল করা প্রয়োজন। যদিও পরিস্থিতি কিন্তু এখনও সন্তোষজনক নয়।”
করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের বিধিনিষেধ ১১ অগাস্ট থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তুলে নেওয়া হয়েছে।
সেদিন থেকেই সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিপণি বিতান ও দোকানপাট খোলা। আর শিল্প কারখানা খোলা রয়েছে ১ অগাস্ট থেকে।
বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আগামী ১৯ অগাস্ট থেকে কয়েকটি শর্তে পর্যটন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্রও খুলে দিচ্ছে সরকার। সেদিন থেকে সব গণপরিবহনই সড়কে নামতে পারবে।
ধাপে ধাপে বিধিনিষেধগুলো শিথিল করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, “এর ধারাবাহিকতায় আজকে আরেকটি প্রজ্ঞাপন হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র যে পরিমাণ আসন, তার অর্ধেক বা ৫০ ভাগ চালু করতে বলা হয়েছে। আমরা বলছি, আগামী ১৯ অগাস্ট থেকে যানবাহন শতভাগ চলবে। আমরা চাই প্রত্যেকে সতর্কতার সাথে তাদের পেশার কাজ করবেন।”
স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে, বাস্তবতার প্রেক্ষিতে তা কার্যকর করাটা কতটুকু বাস্তবসম্মত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আমি অসতর্ক হলে আক্রান্ত হব। আর আক্রান্ত হলে আমার যদি শারীরিক কোনো সমস্যা থাকে, আমার মৃত্যুর ঝুঁকি আছে, স্বাস্থ্যঝুঁকিও মারাত্মক আছে। সকলের বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে।”