শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন

পদ্মা সেতু সাহস, সংকল্প ও সমৃদ্ধির প্রতীক: চীনের রাষ্ট্রদূত

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৬১ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২

পদ্মা সেতুকে সাহস, সংকল্প ও সমৃদ্ধিরও প্রতীক বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। শনিবার (২৫ জুন) স্বপ্নের এই সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর প্রাক্কালে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

ঢাকায় চীনা দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে ‘রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক মিনিট’ শিরোনামে নিয়মিত একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানের এবারের পর্ব আজ শুক্রবার (২৪ জুন) প্রকাশ করা হয়।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনকে ‘মহৎ একটি দিন’ উল্লেখ করে ভিডিও বার্তায় লি জিমিং বলেন, ‘বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতু অবশেষে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, আর এক দশকের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। এ পর্যায়ে আমি এই অসামান্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে চাই! এ সময় থ্রি-ডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি পদ্মা সেতুর মিনিয়েচার (ক্ষুদ্র সংস্করণ) দেখান রাষ্ট্রদূত। তিনি জানান, এটি সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়নকারী কোম্পানি চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ বা এমবিইসি তার কাছে স্মারক হিসেবে পাঠিয়েছে।

নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু নির্মাণে সাহসিকতার প্রশংসা করে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সেতুটি আমার কাছে সাহসের একটি প্রতীক। স্বল্পোন্নত দেশ বাংলাদেশ এমন সেতু নির্মাণ করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিল। তারপরও বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ সেতুটি শুধু বাস্তবায়নই হয়নি, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে এর শতভাগ নির্মিত হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে যদি সাহসের কোনও সীমা না থাকে, তবে আকাশ তার সীমা।’

লি জিমিং বলেন, পদ্মা সেতু একটি সংকল্পের প্রতীক। সেতুটি নির্মাণে সময় লেগেছে আট বছর; শক্তিশালী পদ্মার স্রোতধারার ওপর এর অবয়ব একটি গল্প বলছে যে কীভাবে মানব প্রকৌশল প্রকৃতির শক্তিকে জয় করেছে। নদী হয়তো হাজার বছর ধরে বহমান, কিন্তু এর চেয়ে বেশি টেকসই হলো সেই মানুষের অধ্যবসায়, যারা একদম শূন্য থেকে সেতুটি তৈরি করেছেন।

সবশেষে পদ্মা সেতু সমৃদ্ধিরও প্রতীক’ উল্লেখ করে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে সেতুটি বাংলাদেশের জিডিপি ১ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করতে পারে এবং বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যাকে উপকৃত করতে পারে। এটি কেবল এ দেশ এবং অঞ্চলকে সংযুক্ত করবে না, বরং অভিন্ন সমৃদ্ধি এবং একটি সমন্বিত ভবিষ্যতের পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের মানুষকে হৃদয় দিয়ে সংযুক্ত করবে। সবশেষে দর্শকদের জন্য প্রশ্ন রেখে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনি কী মনে করেন?


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর